স্বপ্ন যাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (A to Z)
গাইডলাইন এবং পরামর্শ
আজকের লেখাটা তাদের জন্যই যারা এতদিন ভালো করে প্রস্তুতি নিতে পারেনি/ অনেকে নিচ্ছেন । উচ্চমাধ্যমিক শেষে নিজের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি জমাতে দৌড়ঝাঁপের অন্ত নেই শিক্ষার্থীদের। তবে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নপদ্ধতি সম্পর্কেও আগাম ধারণা থাকা চাই।
অন্যথায় শেষ মূহুর্তে এসে নানান ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব প্রশ্নপদ্ধতি। তেমনি ভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যে প্রশ্নপদ্ধতি অনুসরণ করা হয় এবং এতে উত্তীর্ণ হতে সাধারণত শিক্ষার্থীদের যেসকল বিষয় অনুসরণ করা উচিৎ তা নিচে তুলে ধরা হলো;
একটা কথা বলে রাখি তোমাদের কে বিগত বছরের প্রশ্ন পড়া ছাড়া চবিতে চান্স পাওয়া অসম্ভব । কারণ বিগত বছরের প্রশ্ন না পড়লে তুমি প্রশ্নের প্যাটার্ন-ই বুঝতে পারবা না অনেক পিছিয়ে যাবা।তাই বিগত বছরের প্রশ্ন সলভ করবে অবশ্যই।
বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে ১৫-২০% হুবহু কমন পড়ে এবং ব্যাখ্যাসহ ঐ সব টপিকসগুলা থেকে ৬০-৭০% কমন পড়ে৷ সেইজন্য "চবি গাইডলাইন" প্রশ্ন ব্যাংক থেকে পড়তে পারো।
বিগত বছরের প্রশ্ন পড়ার পর দেখবেন বিগত বছরে যেসব টপিক্স থেকে প্রশ্ন এসেছিল সেসব বা তার আশেপাশের গুলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ৷ অবশ্যই সেগুলা ভালো করে পড়তে হবে ।
চবির জন্য শুধু বইয়ের সবকিছু পড়লেই পারফেক্ট প্রস্তুতি হয়না । এজন্য একটু চোখ কান খোলা রাখতে হয়। কারণ চবিতে বেসিক থেকে প্রশ্ন হয় এতো বেশি প্যাচায় না কঠিন ও হয় না৷ প্রশ্ন ব্যাংক পড়লে বুঝতে পারবেন।
চবির বিগত বছরগুলার প্রশ্ন পড়তে হবে ব্যাখ্যাসহ ভালো মানের একটা প্রশ্নব্যাংক থেকে । এতে করে প্রশ্নের প্যাটার্ণ ও বুঝতে পারবে এবং অনেক প্রশ্ন কমন ও পেয়ে যাবে আর ব্যাখ্যাসহ সম্পূর্ণ পড়লে মোটামুটি চান্স পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি সম্পুর্ণ বলা যায় ৷ তাই পরামর্শ থাকবে পরীক্ষা দেওয়ার আগে কমপক্ষে ৩-৪ বার পুরো প্রশ্নব্যাংক ভালোভাবে পড়ে নেওয়া। এবং টপিক গুলো বিশ্লেষণ সহকারে পড়া।
এবারে আসি কিভাবে পড়বেন/কোন বই থেকে পড়বেনঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আশাকরি আপনারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই মূহুর্তে আপনাদের যেভাবে প্রিপারেশন নেওয়া উচিৎ! এক্ষেত্রে আমি আপনাদের জায়গায় হলে যেভাবে প্রস্তুতি শানিয়ে নিতাম তা বর্ণনা করছি।
আবার এটিও সত্য কথা আপনাদের মধ্যে অনেকেই ঢাবি,জাবি,রাবিসহ গুচ্চ ও বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে যার ফলে প্রস্তুতি অনেকাংশেই ব্যহত হয় চবির জন্য । তবে এসব মেনে নিয়েই আপনাদেরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতিকে আরো বেগবান করে তুলতে হবে।
এটা আশা করাই সমীচীন যে ইতোমধ্যেই তোমরা প্রদত্ত গাইডলাইন অনুসারে তোমাদের সকল বিষয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা কেউ নতুন করে প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছেন।এখনো অনেক সময় আছে, যারা ভাবতেছেন এখন প্রস্তুতি নিয়ে লাভ হবে কি না, তাদেরকে বলতেছি এখনো অনেক সময় আছে প্রস্তুতি শুরু করে দেন, কোন সমস্যা হলে তো আমি আছিই কিভাবে পড়া শুরু করবে।
যাইহোক,
এবারে আমরা বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির ধরণ সম্পর্কে আলোচনা করি আশা করি মনযোগ সহকারে পড়বেন।
বাংলা প্রস্তুতির কিভাবে নিবেনঃ
বাংলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ টপিক এডমিশনের জন্য।
পরিক্ষায় ভালো করতে চাইলে অবশ্যই বাংলা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
চবিতে বাংলা খুব একটা কঠিন হয়না। বিগত ১০-১২ বছরের প্রশ্ন যদি ব্যাখ্যাসহ পড়তে পারো তবে ৪-৬ টি প্রশ্ন অনায়াসেই কমন পেতে পারেন।
চবিতে বাংলা অংশে প্রায়ই লোকসঙ্গীত , বিভিন্ন পালা-পার্বণ , কালচারাল হেরিটেজ এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাই এগুলো একটু করে দেখে দেখে পড়বা।
আপনাদের নিজের মত অথবা কোচিং সেন্টারের দিকনির্দেশনায় যে যে বই , শীট , নোটস পড়েছেন সেগুলোই যথেষ্ট। নতুন করে কিছুই পড়ে যাওয়ার নেই। তবে আপনাদের পঠিত বিষয়গুলোর মধ্যেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্নগুলোর আলোকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কিছু টপিক ও ফ্যাক্টস সম্পর্কে কিছু দিকনির্দেশনা দিচ্ছি :
A ইউনিট: বাংলা ১০ (বাধ্যতামূলক) ইংরেজি ১৫ (বাধ্যতামূলক), গণিত, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, এই চারটির যেকোনো তিনটির উত্তর দিতে হবে। এক্ষেত্রে তিনটিতে ২৫ নম্বর করে ৭৫ মার্কস। এক্ষেত্রে উত্তীর্ণ হতে বাংলায় ৩, ইংরেজিতে ৪ ও বাকী তিনটিতে ১০ মার্কস করে পেতে হবে।
A ইউনিটের জন্য বিগত সনের প্রশ্ন ব্যাংক চবি গাইডলাইন বা পানকৌড়ি অনুসরণ করা যেতে পারে তবে চবি গাইডলাইন বেস্ট। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক মূল বই অবশ্যই, বাংলা বিচিত্রা এবং English for competitive exams/ Master পড়তে পারেন।
A ইউনিটের ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ প্রশ্নের উওর;
১. গণিত, রসায়ন, জীববিজ্ঞান- এই তিনটির উত্তর দিলে পদার্থবিজ্ঞান ছাড়া বাকি সকল সাবজেক্টে ভর্তি হওয়া যাবে।
২. গণিত ছাড়া বাকি তিনটি সাবজেক্ট রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান উত্তর দিলে গণিত ও পরিসংখ্যান ছাড়া সকল সাবজেক্টে ভর্তি হওয়া যাবে।
৩. রসায়ন ও জীববিজ্ঞান এর যেকোন একটি উত্তর না দিলে অনেক সাবজেক্টই পড়ার জন্য বিবেচিত হবে না। এক্ষেত্রে ভর্তি হওয়ার সুযোগও খুব কম থাকবে।
৪. তাই উত্তর দেওয়ার বেস্ট সিকোয়েন্স হতে পারে, জীববিজ্ঞান, রসায়ন, (গণিত অথবা পদার্থ), ইংরেজি, বাংলা।
B ইউনিট: বাংলা-৩৫, ইংরেজি-৩৫, সাধারণ জ্ঞান-৩০ মার্কস। সর্বমোট ৪০ পেলে পাশ। তবে যারা চারুকলা, নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তারা ২০ মার্কের অতিরিক্ত ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
B Unit এ বাংলা ৩৫ মার্কস আসে। এর মধ্যে প্রায় ১৭-১৮ টি টেক্সট বইয়ের গদ্য ও পদ্য থেকে আসে এবং সেগুলো তেমন ক্রিটিক্যাল হয়না। আর ব্যাকরণ অংশের জন্য বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সহ ব্যকরণের বোর্ড বইটাই যথেষ্ট।
এ ইউনিটে প্রায় ৭-৮ টি টেক্সট বইয়ের লেখক পরিচিতি থেকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া প্রায় প্রতি বছরেই প্রায় ৪-৬ টি প্রশ্ন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত হয়ে থাকা যা সাধারণ জ্ঞান অংশ থেকে পড়াই ভালো।
C ইউনিট: ইংরেজি-৩০, হিসাব বিজ্ঞান-৩৫, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ-৩৫। এক্ষেত্রে ইংরেজিতে ৮, হিসাব বিজ্ঞানে ১২ এবং ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগে ১২ পেয়ে পাশ করতে হবে। সর্বমোট ৪০ পেলে পাশ।
C ইউনিটের জন্য বিষয়ভিত্তিক মূল বই,Master/ English for competitive Exam, Toefl এবং বিগত সনের প্রশ্ন ব্যাংক চবি গাইডলাইন/পানকৌড়ি অনুসরণ করা যেতে পারে তবে চবি গাইডলাইন বইটি বেস্ট হবে।
এছাড়া স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে যারা যেতে চায় তাদের ফিল্ড টেষ্ট ২০ মার্কস ও সার্টিফিকেট ১০ মার্কস থাকবে।
চবির B ও D ইউনিটের জন্য বাংলা- নবম দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ, উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা ১ম পত্র, সৌমিত্র শেখর এর বাংলা ব্যাকরণ অনুসরণ করতে হবে। ইংরেজির জন্য Cliffs+Barrons Toefl এবং English for competitive exam/ Master।
সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞানের জন্য কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স অনুসরণ করা যেতে পারে। বিশ্লেষণ দক্ষতার জন্য IQ গাইডলাইন এবং বিগত সালের প্রশ্ন ব্যাংকের জন্য চবি গাইডলাইন পড়তে পারেন।
এবারের D Unit একটু আলাদা। তবে প্রশ্ন কাঠামো খুব একটা হেরফের হয়তো হবেনা। তবে সমাস , কারক,প্রকৃতি-প্রত্যয় ,উপসর্গ ,বিরামচিহ্ন , পত্র-লিখন , বাক্যসংকোচন এগুলোর উপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। এছাড়া বাদবাকি প্রিপারেশন প্রথাগতই।
আর হ্যা , অবশ্যই সাম্প্রতিক কালের বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের সম্পর্কে পড়ে যেতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান :
সাধারণ জ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যে বিষয়গুলোর উপর পরীক্ষা দিতে হয়, তার সবগুলোই শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ে আসে;
এটি মূলত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ও নয়; আমাদের দেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, আমাদের পৃথিবী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, পৃথিবীর ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অবস্থা, খেলাধুলা, ইত্যাদি বিষয়গুলোর সমন্বয়ে ‘সাধারণ জ্ঞান।
আপনাদের নিজের মত অথবা কোচিং সেন্টারের দিকনির্দেশনায় যে যে বই , শীট , নোটস পড়েছেন সেগুলোই যথেষ্ট। নতুন করে কিছুই পড়ে যাওয়ার নেই। তবে আপনাদের পঠিত বিষয়গুলোর মধ্যেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্নগুলোর আলোকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কিছু টপিক ও ফ্যাক্টস সম্পর্কে কিছু দিকনির্দেশনা দিচ্ছি :
B Unit এ সাধারণ জ্ঞান মোটামুটি সহজ লেভেলের হয়। তবে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রায় ১০-১২ টি প্রশ্ন এসে থাকে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বাংলায় যে অংশ পড়বে তা সাধারণ জ্ঞান অংশেও সমানভাবে কাজে লাগবে।
সাম্প্রতিক খুব একটা না আসলেও এ বছরের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। তাই হট ইস্যুগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিও।সাথে চবি গাইডলাইন বইটি পড়বে।
বিভিন্ন সংস্থা - সংগঠন সম্পর্কে বিশদ ধারণা রাখাই উত্তম।
ইংরেজী :
যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সম্পর্কে একটি কথা সবসময়ই বলা হয় : 'ইংরেজীতে পাশ তো নিশ্চিত চান্স।' চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কথাটি বোধহয় আরো সত্য। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী প্রশ্ন অন্যান্যদের তুলনায় একটু বেশিই কঠিন হয়। এখানেই আবার কিছু ট্যুইস্ট লুকিয়ে আছে।
ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা কল্পনা করাই যায় না। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা আর ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স দুইটাই নিরর্থক।দূঃখের বিষয় হলো সবচেয়ে বেশি স্টুডেন্ট ইংরেজিতে ফেল করে।
আসলে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে ইংরেজিতে ভয়কে জয় করা সম্ভব।
বিগত দুই যুগে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরিক্ষায় কয়েক হাজার প্রশ্ন বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, প্রায় অধিকাংশ প্রশ্ন বিশেষ test area এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।অন্য কথায় ইংরেজি গ্রামারের ওপর পূনাঙ্গ প্রস্তুতির অবাস্তব ঝামেলা কিংবা শূন্য প্রস্তুতির চেয়ে বিশেষ কিছু বিষয়ের ওপরে পরিকল্পিত প্রস্তুতি নিলে কম পরিশ্রমে ইংরেজিতে ভালো করা সম্ভব। বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে আরও যে মজার তথ্যটি বেরিয়ে এসেছে তা হলো একই প্রশ্নের হুবহু পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা গেছে বহু পরিক্ষায়।
সুতরাং ঐসব test area এর ওপর প্রস্তুতি নিলে আশা করা যায় আপনিও কম পুঁজিতে বেশি লাভবান হতে পারবেন
আশাকরি ইংরেজী নিয়ে আর ভয় থাকবেনা, যে যে বই থেকে পড়েছো সেখান থেকেই রিভাইজ দাও। যারা শুরু করবা তাড়া ভালো করে প্রস্তুতি শুরু কর।
তবে CU এ English এর জন্য কিছু ফ্যাক্টস না আলোচনা করলেই নয়। মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়বে।
Cliffs TOEFL কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য বাইবেল বলে আখ্যায়িত করা হয়। এর নেপথ্যের অনেক কারণ আছে। আমার ব্যক্তিগত প্রশ্ন এনালাইসিসে দেখেছি যে , Cliffs TOEFL থেকে প্রতিবছর B Unit এ +-22/23 টি ( Out of 35) যার মধ্যে হুবুহু কমন আসে প্রায় 14/15 টি এবং বাকিগুলো এখানকার রুলসের নিয়মেই আসে। ঘ ইউনিট: বাংলা-৩০, ইংরেজি-৩০,বিশ্লেষণ দক্ষতা-২০, (সাধারণ জ্ঞান/ গণিত/অর্থনীতি)-২০। এক্ষেত্রে যেকোনো ১টির উত্তর দিতে হবে।
আরেকটি মজার ব্যাপার হলো মাঝেমধ্যে B Unit , BBA Faculty'র প্রশ্নে Passage অংশটুকু হুবুহু Cliffs থেকে কমন চলে আসে।
এর জন্য ভালো হবে অভিজ্ঞ কারো অধীনে পড়ার চেষ্টা করবেন যেন তার গাইডলাইন অনুসরণ করে পড়তে পারেন। একটা কথা মনে রাখবা বই শুধু পড়লেই হবে না,পড়ারও কিছু অভিজ্ঞতা লাগে।কোনটা পড়বে কোনটা পড়বেনা সেটা একজন ভালো স্টুডেন্ট শুধু বুঝতে পারে।
অনেকের মনে হতে পারে , Cliffs TOEFL বা অন্য কোন বই থেকে কোন অংশগুলো পড়া উচিত ?
আমি এক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ দিচ্ছি :
Grammar Section for revision:
🔸Verb as complement
🔸Embedded Question
🔸Affirmative & Negative Agreement
🔸Causative Verb
🔸Subjunctive
🔸Linking Verb
🔸Illogical Comparison
🔸Number of Noun
🔸Uncountable Problems
🔸Gender of Noun
🔸Adverds
🔸Appropriate Prepositions
🔸Right from of verb
🔸Conditional Sentence
🔸Voice
🔸Narration
🔸Tag Question
🔸Phrases and Clause
🔸Transformation of Sentence
🔸Correction
🔸Translation and proverbs
🔸Antonyms &Synonym
🔸Phrases & Idioms
🔸Spelling Mistakes
🔸Analogy
আর অবশ্যই ইংরেজি অংশকে দুটি অংশে বিভক্ত করে
পড়বেন।
এগুলোর মধ্যে কোন টপিক বুঝতে অসুবিধা হলে ইউটিউবে অনেক ভালো ভালো চ্যানেল আছে সেগুলোতে ক্লাস গুলো দেখতে পারেন অনেক উপকৃত হবেন ।
উপরের টপিক গুলো যদি ভালো করে শেষ করতে পার তাহলে ইনশাআল্লাহ মনে হয় না আর কোন সমস্যা থাকবে,
উপরের তথ্যগুলো থেকে চবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি এবং কোন ইউনিটে কি কি বই অনুসরণ করা যেতে পারে আশাকরি এরকম একটা ধারণা হয়েছে।
পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে, এ্যডভান্স হয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দাও, কেননা পারফেক্ট সময় আসবে এটা ভেবে বসে না থেকে, খারাপ সময়গুলোকে নিজে থেকে পারফেক্ট বানাতে হবে, তাহলে দেখবেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির মত স্বপ্ন গুলো তোমার জন্য সহজ হবে।
মনে রাখতে হবে,একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো ভর্তি পরীক্ষা। সারা জীবনের লালন করা স্বপ্ন পূরণ হয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে। তীব্র এ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় টিকে থাকতে হলে অধ্যবসায়ী ও কৌশলী হওয়ার বিকল্প নেই।
সুস্থ থাকা: বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হলো সুস্থ থাকা। মহামারির এ সময়টিতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যেমন- মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলা ইত্যাদি। সফলতার জন্য সুস্থতা অপরিহার্য।
মানসিকভাবে শক্ত থাকা: ভর্তি পরীক্ষার এ সময়টিতে আত্মপ্রত্যয়ী থেকো। খুব বেশি মানসিক চাপ নেয়ার প্রয়োজন নেই। রুটিন মাফিক চললে অবশ্যই সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। সর্বোপরি মানসিকভাবে শক্ত থেকো।
ফেসবুক, ইন্টারনেট থেকে বিরত থেকো: ফেসবুক, ইন্টারনেট আসক্তি অনেক মূল্যবান সময়কে নষ্ট করে।সামনে সময় খুব বেশি পাবে না। অন্তত এখন এগুলো থেকে বিরত থাকো। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলে তখন আর কেউ বাধা দেবে না।
পরীক্ষা কবে হোক না কেন, তোমরা প্রস্তুতি চালিয়ে যাও। সর্বোপরি ভালো থেকো সবসময়। আগামী দিনগুলো তোমাদের হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অয়ন তোমাদের অপেক্ষায়।
⚠️ [বিঃদ্রঃ একটা পোস্ট লিখতে অনেক সময়,মেধা,শ্রম এবং অভিজ্ঞতা লাগে অনেক কপিবাজ ভাই-বোনেরা আছে এরা একজনের পোস্ট হুবহু কপি করে নিজের নামে চালায় দেয়, নিজস্ব বুদ্ধি বলতে কিছু নাই। ভাই আপনারকেই বলছি এইরকম কাজ করা থেকে বিরত থাকেন। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে পোস্ট করেন ]😊
©মোঃ শিমুল ইসলাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন