Notification texts go here Contact Us Buy Now!

মনস্তাত্ত্বিক কৌশল কি? What is Psychological Techniques?

LaBiB


মনস্তাত্ত্বিক কৌশল || Psychological Techniques ::



অংশ ১ঃ- চমৎকার মানুষ হওয়ার কিছু মনস্তাত্ত্বিক কৌশল
একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য অন্যের আস্থা অর্জন ও নিজের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ার কোন বিকল্প নেই। Versity Zone এ জন্য ৯টি মনস্তাত্ত্বিক কৌশল আপনাদের সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো আপনাকে চমৎকার একজন মানুষ হিসেবে পরিণত করতে বিশেষ ভাবে সহায়ক হবে।
১) এ রকম মনোভাব কখনোই রাখবেন না যে আপনাকে সব কিছুই জয় করতে হবে বা সব কিছুই পেতে হবে। কোন কিছুর বিনিময়ে তার প্রতিদান পাওয়ার প্রত্যাশা ছাড়াই মানুষকে দেয়ার চেষ্টা করুন।
২) পরিচিত কারো সাথে যখনই আপনার দেখা হবে হাসি মুখে তার দিকে তাকান।
৩) কারো সাথে কথা বলার সময় তার সাথে দ্বন্দ্ব ও মত-বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো সেখানে টেনে আনবেন না। যে সকল ক্ষেত্রে উভয়ের ঐক্যমত্য রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কথা বলুন।
৪) নিজের আবেগ ও উপলব্ধি সঠিকভাবে প্রকাশের জন্য যার সাথে কথা বলছেন তাকে হাত দিয়ে স্পর্শ করুন।
৫) নিজের মুখের অভিব্যক্তি ও অঙ্গভঙ্গি সঠিক ভাবে ব্যবহার করুন।
৬) নিজের দুর্বলতা বা সমস্যাগুলোকে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে অন্যের সামনে প্রকাশ করার সময় এটা মাথায় রাখার কোন প্রয়োজন নেই যে আপনাকে বেমানান/বেঢপ দেখাচ্ছে কিনা।
৭) অন্যের নামগুলো স্মরণ রাখুন। তাদের নাম ধরেই তাদের সম্বোধন করুন।
৮) যার সাথে কথা বলছেন তার কথাগুলোকে মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করুন এবং নিজে কথা বলার সময় অপ্রয়োজনীয় কথাগুলো এড়িয়ে যান।
৯) যার সাথে কথা বলছেন তাকে এমন কিছু প্রশ্ন করুন, যেগুলো আপনাকে তার সম্পর্কে ভালভাবে জানতে সহায়তা করবে।
—(Versity Zone , চমৎকার মানুষ হওয়ার কিছু মনস্তাত্ত্বিক কৌশল )
অংশ ২ঃ- মনস্তাত্ত্বিক কৌশল
অনেকক্ষন কোন একটা বিষয় নিয়ে অনেক বিরক্ত,অনেক কষ্ট পাচ্ছেন,কাউকে বলতেও পারছেন না?কোথাও লিখে ফেলুন,পার্সোনাল ডাইরি নাহলে কোন কাগজে....আপনার যা মনে আসছে তাই,কাউকে অপছন্দ হলে তার বিরুদ্ধেও লিখতে পারেন।
আমার অল্প সল্প জ্ঞান দিয়ে যতটুকু মাথায় আসছে ততটুকুই লিখে ফেলি।
যদি ঘুম পরিপূর্ণ না হয়ে থাকে তবে, মস্তিষ্ককে বলুন, " আমি অনেক ভালো ঘুমিয়েছি"। দেখবেন অনেকটা প্রশান্তি লাগবে। এটা চমৎকার কাজ করে!
কাউকে হারিয়ে দিতে চান, যে আপনাকে অপমান করেছে? কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। কিছু না বলে শুধু সবার সামনে তাকে এড়িয়ে চলে যান।এটা তার অহংকারকে আঘাত করবে এবং খোঁচা দেওয়া থেকে বিরত থাকবে।
বুঝতে চান, কেউ আপনার কথায় মনোযোগী কি না? আপনার বলা বাক্যটাকে সামান্য পরিবর্তন করে পুনরায় বলুন। যদি সে মনোযোগী হয় তবে তার মুখভঙ্গি কিছুটা পরিবর্তন হবে অথবা সে বাক্যের পরিবর্তনকৃত অংশ টা ধরে ফেলবে।
কিভাবে বুঝবেন যে, কোনো ব্যক্তি মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে? শুধু তার চোখের দিকে তাকাবেন, যখন সে কথা বলে, এসময় ঐ কথা বলার দরুন যদি তার চোখ অন্যদের চোখ থেকে সরিয়ে নেয় তবে সে ভান করতেছে। একজন মিথ্যাবাদী / ভনিতাকারী ব্যক্তি তার মিথ্যা বলার সময় চোখের স্থিরতা লুকানোর করার চেষ্টা করে।
নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা থেকে পরিত্রাণ পেতে চান? যুক্তির প্রশ্ন ছুড়ে দিন যখন এসব মাথায় আসে। দেখবেন খারাপ চিন্তার শক্তি কমে যাবে এবং তৎক্ষনাৎ মাথা থেকেও দূরে সরে যাবে।
আত্মবিশ্বাস অনুভব করতে চান? যখন কারও সাথে দেখা করছেন, ভাবুন আপনার সবকিছুই আছে যা অপর ব্যক্তি আমার মধ্যে দেখতে চায়/ আমার কাছ থেকে চায়। হ্যাঁ বোধক ফলাফলের জন্য এতোটুকুই যথেষ্ট!
কটু মানুষের সাথে বোঝাপড়ায় জিততে চান? মুখে হাসি নিয়ে তার কথা প্রসঙ্গেই কোনো একটা যুক্তিপূর্ণ প্রশ্ন ছুড়ে দিন।দেখবেন, হয় সে তার যুক্তিতে ভুল বুঝতে পারবে আর নাহয় আপনার কথায় অসম্মতিতে সম্মতি জানাবে।
গোলমেলে পরিস্থিতিতে কিভাবে মানষিক চাপ কমাবেন? যেকোনো ভাবে মুখে এক চিলতে হাসি আনুন। তৎক্ষনাৎ মন ফুরফুরে হবে ও প্রশান্তি পাবেন।
পিছনের তিক্ত কথা বলা ব্যক্তিদেরকে প্রতিহত করবেন কিভাবে? প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। সামনা-সামনি চোখ পাকাবেন না। ভাববে তারা আপনাকে বোকা বানাতে সক্ষম হয়েছে এবং একদিন এমন একজনকে খুজে পাবে যে তাদেরকে তাদেরই খেলায় হারিয়ে দেবে। হ্যাঁ এটা কার্যকর!
কোনো কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন না? মস্তিষ্ককে কাজটা শুরু করাতে সম্মত করুন। যখনই শুরু করবেন, মজা পাবেন কাজে, দেখবেন কাজটাও সম্পন্ন হয়ে গেছে!
অনেকক্ষন কোন একটা বিষয় নিয়ে অনেক বিরক্ত,অনেক কষ্ট পাচ্ছেন,কাউকে বলতেও পারছেন না?কোথাও লিখে ফেলুন,পার্সোনাল ডাইরি নাহলে কোন কাগজে....আপনার যা মনে আসছে তাই,কাউকে অপছন্দ হলে তার বিরুদ্ধেও লিখতে পারেন।
একটু পর দেখবেন,সেই চিন্তা নিয়ে আর এত ভাবছেন না।(এটা পরীক্ষিত সত্য,আমি করি))কারো কাছ আরও বিস্তারিত উত্তর পেতে চাচ্ছেন?কিন্তু তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন?তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকুন....সে বাধ্য হবে এর চেয়ে বেশি বলতে।(আমার এক ফ্রেন্ড এই বুদ্ধি আমার ওপরেই খাটায়...আমার যদিও রাগ লাগে।
—(Versity Zone , মনস্তাত্ত্বিক কৌশল )
অংশ ৩ঃ- কেনাকাটায় খরচ কমানোর ১০ মনস্তাত্ত্বিক কৌশল
আপনার টাকা আপনি কেন ও কিভাবে খরচ করবেন এবং কিভাবে আপনি একজন দক্ষ ক্রেতায় পরিণত হতে পারবেন, এগুলোর পেছনে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। আজকের প্রতিবেদন এরকম বিজ্ঞানসম্মত ১০টি কৌশল নিয়ে, যা আপনার বাজে খরচের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
* উৎসবের জাঁকজমকতা থেকে সাবধান থাকুন
সানফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. কিট ইয়ারোর মতে, ছুটির দিন বা কোনো উৎসবমুখর পরিবেশে লাল এবং সবুজ রঙে সাজানো দোকানগুলো আপনাকে কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে পারে এবং এর ফলে আপনার কেনাকাটার খরচ বেড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, লাল রঙ আপনার অভ্যন্তরীণ সত্ত্বাকে জাগ্রত করে। উদাহারণস্বরূপ বলা যায়, যেসব দোকান বা রেস্টুরেন্টের কর্মীরা লাল রঙের ইউনিফর্ম পরে তারা অন্যান্য রঙের ইউনিফর্ম পরিহিতদের তুলনায় ১৪-২৬ শতাংশ বেশি বকশিস গ্রাহকের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। অন্যদিকে সবুজ রঙটি আকাঙ্ক্ষা, ধনসম্পদ এবং ভাগ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। এজন্য বড় দোকানগুলো কোনো উৎসবের সময় সবুজ রঙে দোকান সাজিয়ে থাকে।
তাছাড়া দোকানিরা দামি ও আকর্ষণীয় পণ্যগুলো সামনের দিকে রাখে এবং আপনি তাতে আকৃষ্ট হন। গবেষণায় দেখা গেছে, এরকম পরিস্থিতিতে আপনি সামনে যেটা পান সেটাই আপনার কিনতে ইচ্ছা করে। এছাড়াও বিভিন্ন দোকান মৌসুম অনুযায়ী নানান সুগন্ধীর বন্দোবস্ত করে থাকে। এভাবে তারা আপনাকে বেশিক্ষণ ধরে শপিংয়ে উৎসাহিত করে এবং আপনার খরচ বেড়ে যায়।
* উঁচু হিলের জুতা পরে শপিংয়ে যান
এক গবেষণায় দেখা গেছে, কেনাকাটার সময় ক্রেতাদের নিজের শারীরিক ভারসাম্যের প্রতি মনোযোগ থাকলে তারা দামী বা কম গুণগত মানের পণ্যের তুলনায় মাঝামাঝি দামের কোনো পণ্যের প্রতি বেশি আগ্রহী হন। ব্রিঘাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, উঁচু হিলের জুতা অস্বাচ্ছন্দ্যকর হলে যোগব্যায়ামের পর অথবা শপিং মলের এস্কেলেটর ব্যবহারের পর কেনাকাটা করলে এরকম ফলাফল পাওয়া যায়।
* নতুন টাকার নোট ব্যবহার করুন
২০১২ সালে কনজ্যুমার রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অধিকাংশ মানুষ যেকোনো জিনিস কেনার ক্ষেত্রে পুরাতন এবং নোংরা টাকার নোটগুলো খরচ করে থাকেন, কেননা তারা নতুন নোটের তাজা ভাবটা হারাতে চান না। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ক্রেতাগণ নতুন নোটের তুলনায় পুরাতন নোট খরচে বেশি আগ্রহী ছিলেন। সুতরাং, শপিংয়ে গেলে নতুন নোট খরচ করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার খরচের আগ্রহ কমে যাবে।
* কেনার আগে একটু ভেবে নিন
মনোবিজ্ঞানী এপ্রিল লেন বেনসনের মতে, হুটহাট করে কোনো জিনিস কিনে ফেলার চাইতে কেনার আগে একটু নিজের মতো করে চিন্তাভাবনা করে নিন। তিনি আরো বলেন, কোনো পণ্য পছন্দ হলে সেটি বিক্রেতার হাতে দিন, সেটি থেকে দূরে কোথাও স্থির হয়ে বসুন এবং নিজেকে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো করুন:
আমি এখানে কেন? পণ্যটি সম্পর্কে আমার অনুভূতি কি? আমার কি এটার প্রয়োজন আছে? কি হবে যদি আমি সামান্য অপেক্ষা করি? আমার কি এটা কেনার সামর্থ আছে? কেনার পর সেটা কোথায় রাখব? অতঃপর, আপনার সেই পণ্য কেনার সামর্থ এবং যুক্তিযুক্ত প্রয়োজনীয়তা থাকলে তবেই সেটি ক্রয় করুন।
* বেশি দোকান ঘোরা পরিহার করুন
ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, কেনাকাটার সময় আপনি যত দোকান ঘুরবেন, আপনার কেনাকাটার পরিমাণ তত বাড়বে। আপনি হয়তো নিজেকে বোঝাবেন যে, আপনি বুঝে শুনে যাচাইয়ের মাধ্যমে কোনো জিনিস কেনেন। কিন্তু বেশি সময় এবং শ্রম ব্যয় করার ফলে আপনি অবচেতন মনে সেটার পেছনে নিজে থেকে কিছু যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করবেন ফলে আপনার কেনাকাটার পরিমাণ এমনিতেই বেড়ে যাবে।
* অপরিচিত কারো সাহায্য নিন
কাউকে উপহার দেয়ার জন্য কোনো জিনিস কিনবেন, এ বিষয়ে আপনার অনিশ্চয়তা থাকাটা স্বাভাবিক। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ উপহারের জিনিস পরবর্তীতে খুব একটা ব্যবহার হয় না। যদিও আপনি কাউকে ব্যবহার করার জন্যই উপহার দিয়েছিলেন। পাশাপাশি সেই গবেষণায় এটাও দেখা গেছে, আপনি যদি কোনো উপহার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অপরিচিত কারো সাহায্য নেন তাহলে সেই পণ্যের বা জিনিসের ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা অন্তত ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনার তুলনায় অপরিচিত সেই ব্যক্তির যথাযথ পণ্য বাছাইয়ের ক্ষমতা বেশি। সুতরাং, কোনো পণ্য নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগলে অন্য আরেক ক্রেতার পরামর্শ নিন।
* বেশি দামাদামি করে কেনাকাটা এড়িয়ে চলুন
কেনাকাটার সময় দামাদামি না করাটা আপনার কাছে স্ববিরোধী বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বেশি লাভ করতে গিয়ে অনেক সময় আপনি ঠকেও যেতে পারেন। ড. ইয়ারো বলেন, আপনার পরিবার বা বন্ধুদের জন্য কেনাকাটা করার পর এটা খুবই স্বাভাবিক যে, আপনার নিজের জন্যও কিছু কিনতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি দামাদামি করে যে টাকাটা বাঁচিয়েছেন, নিজের জন্য কিছু কিনতে গিয়ে স্বভাবতই আপনি তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ করে ফেলবেন।
* বিক্রেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া থেকে বিরত থাকুন
ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, আপনি কেনাকাটা করতে গিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে যত কথা বলবেন, আপনার কেনাকাটার আগ্রহ তত বাড়বে। বিষয়টা অনেকটা এমন, যে আপনাকে সাহায্য করল তার মনে আপনি কষ্ট দিতে চান না। ফলস্বরূপ আপনার খরচ বেড়ে যাবে।
* কেনাকাটা থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করুন
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক তথ্য অনুযায়ী, কোনো জিনিস কেনার তাগিদ, আপনার মস্তিষ্কের সুখদানকারী অংশকে উত্তেজিত করে তোলে। ফলে আপনার স্নায়ুতে ডোপামিন নামক হরমোনের নিঃসরণ হওয়া শুরু হয় এবং আপনার অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপনি বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা শুরু করেন। এ বিষয়ে গবেষক টারা পার্কার পোপ বলেন, ‘কোনো জিনিস দেখলে হুট করে সিদ্ধান্ত না নিয়ে প্রয়োজনে পরেরদিন আবার আসুন। এর ফলে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং বাজে খরচের হাত থেকে রেহাই পাবেন।’
* ক্রেডিটকার্ড বাড়িতে রাখুন
গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষজন নগদ অর্থের তুলনায় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে বেশি পছন্দ করেন। কেননা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যতই খরচ হোক সেটা আপাতদৃষ্টিতে চোখে পড়ে না যেমনটা নগদ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এজন্য সবসময় ক্রেডিটকার্ড সঙ্গে নিয়ে ঘুরলে আপনার বাজে খরচের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট।
—(মাহমুদুল হাসান আসিফ, রাইজিংবিডি.কম, কেনাকাটায় খরচ কমানোর ১০ মনস্তাত্ত্বিক কৌশল)
অংশ ৪ঃ- এই ৪টি মনস্তাত্ত্বিক কৌশল দ্বারা আপনার খারাপ অভ্যাস থেকে লাথি দিন
ধূমপান, অতিরিক্ত খাওয়া, পেরেক কামড়ানো, বা ইউটিউবে ঘন্টা নষ্ট করা; আপনার খারাপ অভ্যাস যা-ই হোক না কেন, আপনি তাদের এক পর্যায়ে বা অন্য সময়ে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এমন একটি ভাল সুযোগ রয়েছে এবং কিছুটা চরম ইচ্ছাশক্তি ব্যায়াম করার কয়েক মাস পরে আপনি সম্ভবত আপত্তিকর আচরণটি খালি করতে পেরেছেন।
তবে আপনি যদি আরও স্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মাত্র দুই ঘন্টা পরে যদি আপনি নিজেকে চকোলেট চিপ কুকিজের জন্য প্যান্ট্রি আক্রমণ করতে দেখেন তবে আপনি একা নন।
ক্লিনিকাল সাইকোলজির জার্নালের গবেষণা অনুসারে, প্রায় ৫৪% লোক যারা তাদের উপায়গুলি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হন এবং গড়পড়তা ব্যক্তি ব্যর্থ হন ১০ বার একই রেজোলিউশন করে।
তাহলে আমাদের আচরণ বা দৃষ্টিভঙ্গিতে স্থায়ী পরিবর্তন করা কেন আমাদের পক্ষে এত কঠিন?
মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে খারাপ অভ্যাসগুলি লাথি মারার মূল চাবিকাঠিটি আমাদের মানসিক নিদর্শনগুলি বোঝার এবং মস্তিষ্কের প্রাকৃতিক প্রসেসিং সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিবর্তে কাজ করার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
সুতরাং পরের বার আপনি যখন একটি নতুন পাতা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, এই মনোবিজ্ঞান-ভিত্তিক কৌশলগুলিকে কিছু দিন।
1. আপনি কখন এবং কখন এটি করছেন তা নির্ধারণ করুন।
বিরক্তিকরতা বা চাপের মতো আপনার খারাপ অভ্যাসের সাধারণত অন্তর্নিহিত কারণ রয়েছে এবং আপনি যদি মনোযোগ দিন, আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনার সমস্ত কান্ড কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বা রুটিনের সাথে আবদ্ধ।
এই খারাপ অভ্যাসগুলি সাধারণত আপনাকে কিছু দিয়ে পুরস্কৃত করে: ধূমপান আপনাকে স্ট্রেস রিলিভের পুরষ্কার দেয় এবং ইন্টারনেটে সময় নষ্ট করা সাময়িকভাবে আপনাকে মনোযোগ ঘুরিয়ে দিয়ে পুরষ্কার দেয়।
আপনার দুর্দশাগুলি কীভাবে আপনাকে পুরস্কৃত করছে তা চিহ্নিত করার পাশাপাশি সেইগুলি কখন ঘটে থাকে তা আপনার জীবন থেকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি খেয়াল করতে পারেন যে আপনি যখন নির্দিষ্ট লোকের আশেপাশে থাকেন তখন আপনি বেশি মদ পান করেন, বা আপনি যখন একা বাড়িতে থাকবেন তখন আপনার অত্যধিক প্রবণতা দেখা দেয়। নির্দিষ্ট আচরণটি কী কী ট্রিগার করে তা জানা আপনাকে এই অস্বাস্থ্যকর নিদর্শনগুলি পরিবর্তনের জন্য সঠিক কৌশলগুলি সামনে আসতে সহায়তা করতে পারে।
2. একটি প্রতিস্থাপন অভ্যাস সন্ধান করুন।
গবেষণা দেখায় যে কোনও পুরানো অভ্যাসকে কেবল কাটানোর চেয়ে খারাপ অভ্যাসটি প্রতিস্থাপন করা আরও কার্যকর।
কেন? কোনও অভ্যাসের পরিবর্তে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার চেয়ে মানসিক প্রচেষ্টা কম লাগে, এবং বিশ্বাস করুন বা না করুন, ইচ্ছাশক্তি আসলে একটি সীমিত সংস্থান।
একবার আপনি যখন বুঝতে পারেন যে কীভাবে আপনার দুর্দশাগুলি আপনাকে পুরস্কৃত করছে, আপনি এমন নতুন অভ্যাস স্থাপন করতে পারেন যা আপনাকে একইভাবে পুরস্কৃত করবে তবে একই নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা কমপক্ষে কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ডায়েটের উন্নতি প্রয়োজন হয় তবে জাঙ্ক ফুডের পরিবর্তে ফলের উপর জলখাবার চেষ্টা করা মোটেও কিছু না খাওয়াই এবং আপনার ধূমপান বিরতির পরিবর্তে আরেকটি কম ক্ষতিকারক ক্রিয়াকলাপের পরিবর্তে, যেমন একটি ছোট নাস্তা খাওয়া, কিছু না করার চেয়ে কার্যকর হবে।
৩. আপনার চিন্তাভাবনা দমন করার চেষ্টা করবেন না।
কোনও খারাপ অভ্যাসটিকে লাথি মারার চেষ্টা করার সময়, লোকেরা প্রায়শই সমস্ত কিছু নিয়ে ভাবতে চেষ্টা করে কিন্তু সেই এক ক্রিয়াকলাপটি, যা অবশ্যই তাদের সেই কার্যকলাপ ব্যতীত অন্য কিছু নিয়ে ভাবার কারণ করে।
কেন? অধ্যয়নগুলি দেখায় যে আমরা যখন চিন্তাভাবনাগুলি দমন করার চেষ্টা করি তখন তারা প্রকৃতপক্ষে শক্তিশালী হয়, কারণ আমাদের অবচেতনতাই "কর" এবং "না" এর মধ্যে পার্থক্য রাখে না এবং আমরা যে বিষয়টিকে উপেক্ষা করার জন্য এতটা চেষ্টা করছি তা অনিবার্যভাবে স্থির করে দেবে।
মনোবিজ্ঞানীরা এই ঘটনাটিকে "উদ্ভট প্রক্রিয়া তত্ত্ব" বলে অভিহিত করেছেন।
সুতরাং, উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ আপনাকে গোলাপী ডায়নোসর সম্পর্কে চিন্তা না করার কথা বলেন, আপনি অবিলম্বে গোলাপী ডায়নোসরগুলি সম্পর্কে ভাবতে শুরু করবেন। যদি আপনি নিজেকে ধূমপান সম্পর্কে চিন্তা না করার কথা বলেন তবে আপনি যা ভাবতে সক্ষম হবেন তা ধূমপানের জন্য যাচ্ছে এবং আপনি সর্বত্র প্রলোভন দেখা শুরু করবেন।
৪. আপনার রুটিন বা পরিবেশে পরিবর্তন করুন।
নতুন পরিস্থিতি আপনাকে আপনার আচরণ এবং পছন্দ সম্পর্কে আরও সচেতন করে তোলে, তাই আপনার রুটিন বা পরিবেশে কিছু পরিবর্তন করা, এমনকি যদি আপনি যে অভ্যাসটি ভাঙার চেষ্টা করছেন তার সাথে এটি সরাসরি সংযুক্ত না হয়, তবে নতুন অভ্যাসকে স্বাগত জানানো আরও সহজ করে তুলতে পারে।
এ কারণেই নতুন শহরে চলে যাওয়া বা সম্পর্ক শেষ করার মতো বড় পরিবর্তনগুলি প্রায়শই ছোট পরিবর্তনগুলির সাথে ঘটে, যেমন বেশি ঘন ঘন অনুশীলন করা বা নতুন ডায়েট অনুসরণ করা।
জার্নাল অফ পার্সোনালিটি অ্যান্ড সোস্যাল সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে একটি নতুন পরিবেশ নির্দিষ্ট অভ্যাস সম্পাদনের জন্য স্বয়ংক্রিয় গাইডগুলি সরিয়ে দিতে পারে এবং লোককে তাদের প্রতিদিনের রুটিন সম্পর্কে নতুন বা ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে পারে।
এমনকি ছোট পরিবর্তনগুলি একটি বড় পার্থক্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি টিভি দেখার সময় অতিরিক্ত খাওয়ার ঝোঁক করেন, টেবিলে বসে খাবারের সময় টেলিভিশন বন্ধ করার চেষ্টা করুন যাতে আপনি আপনার খাদ্যাভাস সম্পর্কে আরও সচেতন হতে পারেন।
—(transformationspamd, এই ৪টি মনস্তাত্ত্বিক কৌশল দ্বারা আপনার খারাপ অভ্যাস থেকে লাথি দিন)

ফুটনোটগুলি

এতোক্ষন ধৈর্যের সহিত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ।

About the Author

LaBiB
Bangladesh Writter Society

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.