আমার সর্বকালের সেরা দশের তালিকার নতুন সিনেমার নাম
সত্য বলতে কী মাত্র ১০ সিনেমার তালিকা করা খুবই কঠিন। তবুও বেছে বেছে ১০ টির কথা লিখলাম।:
1. The Shawshank Redemption
দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন ১৯৯৪ সালের মার্কিন চলচ্চিত্র। ফ্র্যাংক ড্যারাবন্ট পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন টিম রবিন্স, মরগান ফ্রিম্যান, বব গান্টন, উইলিয়াম সেডলার, ক্ল্যান্সি ব্রাউন, গিল বেলোস, জেমস হুইটমোর প্রমুখ। মিলিয়ন ভোটের (১০-এর মধ্যে ৯.৩) উপর ভিত্তি করে আইএমডিবি’র ‘‘টপ ২৫০’’’ চলচ্চিত্রের মধ্য এটি #১ নম্বরে রয়েছে এবং সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত।
2. Apocalypto
অ্যাপোক্যালিপ্টো মেল গিবসন পরিচালিত একটি চলচ্চিত্র যা ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। একই সালে এটি একাডেমি এওয়ার্ডের (অস্কার পুরস্কার) জন্য মনোনীত হয়। এই চলচ্চিত্রের পটভূমি তৈরি করা হয়েছে মেক্সিকোর অন্তর্গত ইউকাটান উপদ্বীপে। সময়কাল আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে যখন স্পেনীয় বাহিনী দক্ষিণ আমেরিকা আক্রমণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক মায়া সভ্যতা ধ্বংস করে দেয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমাটিতে একজন ব্যক্তির সংগ্রামের আখ্যান রচিত হয়েছে যে আগ্রাসী মায়ান সভ্যতার আগ্রাসন থেকে নিজ সভ্যতা ও সংস্কৃতি রক্ষার সংগ্রাম চালিয়ে যায় আমৃত্যু।
3. The Gods Must Be Crazy
The Gods Must Be Crazy সিনেমাটি ১৯৮০ সালে সাউথ আফ্রিকায় নির্মাণ করা হয়। কমেডি জেনরের এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন Jamie Uys। সিনেমাটি নির্মাণে তিনি সফল কারণ সিনেমাটি দক্ষিণ আফ্রিকার সিনেমাতে সব চেয়ে বেশি আয় করেছেন। সিনেমার গল্প কাহিনীতে দেখানো হয়েছে আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে বাস করে সভ্য জাতি থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন একদল উপজাতি। যাদের কাছে পৃথিবীর অন্য কোন জায়গায় কৃষ্টি কালচারের কোন ছোঁয়া নেই। সেখানে নেই কোন ক্রোধ,অভিমান,সংশয়। তাদের জীবণ কেন্দ্রীক কিছু ঘটনা।
4. Gladiator
গ্ল্যাডিয়েটর (ইংরেজি: Gladiator) রিডলি স্কট পরিচালিত ২০০০ সালের মার্কিন ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র।চলচ্চিত্রটি ২০০০ সালের ৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় এবং বিশ্বব্যাপী $৪৫৭ মিলিয়ন আয় করে। ৭৩তম একাডেমি পুরস্কার আয়োজনে গ্ল্যাডিয়েটর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কার, রাসেল ক্রো শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারসহ আরও তিনটি বিভাগে অস্কার লাভ করে।
5. Children of Heaven
চিলড্রেন অব হেভেন , এটি ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইরানী চলচ্চিত্র। ছবিটি চিত্রণাট্য ও পরিচালনা করেছেন মাজিদ মাজিদি। ছবিটি তৈরী করা হয়েছে ইরানের একটি পরিবারের ছোট দুই ভাই বোনের জুতা হারানোর কাহিনি এবং তাদের জীবনের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের দু:সাহসিকতা, হাসি এবং কান্নার মধ্য দিয়ে। ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির ফারুক হাশেমী, বাহার সিীদ্দক, হাসিমিয়ান। ছবিটি ১৯৯৮ সালে বিদেশী ভাষার ছবি হিসেবে অস্কার পুরুস্কারের জন্য মনোনীত হয়।
6. Three idiots
থ্রি ইডিয়টস (বাংলা: তিন বোকা) একটি ভারতীয় চলচ্চিত্র। ২০০৯ সালে এটি মুক্তি পায়। এর পরিচালক রাজকুমার হিরানী, চিত্রনাট্য লিখেছেন অভিজাত যোশি এবং প্রযোজনা করেছেন বিধু বিনোদ চোপড়া। থ্রি ইডিয়টস এ অভিনয় করেছেন আমির খান, কারিনা কাপুর, আর মাধবন, শারমান যোশি। মুক্তির পর এটি ভারতে সব ওপেনিং বক্স অফিস রেকর্ড ভঙ্গ করে। মুক্তির দিন এবং সপ্তাহে এটি বলিউডের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা। থ্রি ইডিয়টস ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র। এই সিনেমাটি ছয়টি ফিল্ম ফেয়ার, দশটি স্টার স্ক্রিন এবং ষোলটি আইফা অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। চলচ্চিত্রটি তামিল ভাষায় পুনঃনির্মিত হয়ে নানবান নামে যা ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিলো।
7. Omar
ওমর (আরবী: عمر) হ্যানি আবু-আসাদ পরিচালিত ২০১৩ সালের ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র। এটি ২০১৩ এর কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছিল। যেখানে এটি বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে। এটি ২০১৩ টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে প্রদর্শিত হয়েছিল। চলচ্চিত্রটি ৮ ৬তম একাডেমি পুরষ্কারে সেরা বিদেশী ভাষা চলচ্চিত্রের জন্য মনোনীত হয়েছিল। এটি 2013 এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন পুরষ্কারে সেরা ফিচার ফিল্ম জিতেছে। ফিল্মটি 1 মে 2014 এ নিউইয়র্কের জাতিসংঘে প্রদর্শিত হয়েছিল।
8. Osama
ওসামা (ফারসি: اسامه) 2003 সালের একটি চলচ্চিত্র। আফগানিস্তানের সিদ্দিক বার্মাক এটি নির্মিান করেছেন। ফিল্মটি তালিবানদের শাসনামলে আফগানিস্তানে বসবাসকারী এক এতিম মেয়ে, যে তার পরিবারকে সচ্ছল করতে ছেলে ছদ্মবেশ ধারণ করে ওসামা নাম ধারন করে। ১৯৯৬ সালের পর আফগানিস্তানে পুরোপুরি শ্যুটিং করা এটাই প্রথম চলচ্চিত্র। ফিল্মটি আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডস, জাপান, আয়ারল্যান্ড এবং ইরানের সংস্থাগুলির মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক সহ-প্রযোজনা।
9. 12 Years a Slave
টুয়েলভ ইয়ার্স আ স্লেইভ ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া জীবনীমূলক চলচ্চিত্র। সলোমন নর্থাম্প নামের একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান ভদ্রলোকের ভাগ্যের ফেরে দাস হয়ে বারো বছর কাটানোর কাহিনী। একদিন দুই অচেনা ব্যক্তি তাকে ভালো বেতনে এক জায়গায় কাজের প্রস্তাব দেয়। রাজি হয় সলোমন। কিন্তু দুজন তাকে এক দাস ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যায় সলোমনের জীবন। বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে পড়ে যায় সে। তার নাম পর্যন্ত পাল্টে ফেলা হয়। নতুন নাম রাখা হয় প্ল্যাট। নানান ঘটনা, দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে চলে।
10. The physician
The physician জার্মানি Der Medicus 2013 সালে নির্মিত একটি জার্মান সিনেমা। ইউরোপ যখন চিকিৎসা শাস্ত্রে সেই রোমান মান্ধাতার আমলের রয়ে গেছে, তখন ব্রিটিশ যুবক রবার্ট কল মায়ের চিকিৎসাহীন মৃত্যু দেখে ইবনে সিনার কাছে চিকিৎসাশাস্ত্র শিখতে আসে ইরানে। তারপর এখান থেকে লব্ধ জ্ঞান নিয়ে যায় ইউরোপে। খুবই চমৎকার একটি ছবি।
এছাড়াও সত্যজিৎ রায় পরিচালিত সদগতি সিনেমাটাও খুবই প্রিয়।