Notification texts go here Contact Us Buy Now!

Do You Want To Be A SUSTIAN!!

LaBiB
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন নিয়ে যত কথাঃ-



শুরুর আগে কিছু রোবটিক তথ্যঃ-
১) শাবিপ্রবি বাংলাদেশের প্রথম ও সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
২) বাংলাদেশের পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার পদ্ধতি প্রথম এখান থেকেই শুরু হয়।
৩) শাবিপ্রবির হাত ধরেই আজ এসএমএস এর মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি শুরু হয়েছে।
৪) বাংলাদেশের প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা শাবিপ্রবিরই একটি প্রজেক্ট ও এর পরিচালনা করা হয় শাবিপ্রবি থেকেই।
৫) ন্যাশনাল & ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় শাবিপ্রবির সুনাম দীর্ঘদিনের। তাছাড়া নাসা স্পেস এপ্স এ বিশ্বের ২১০০ বিশ্ববিদ্যালয় কে পেছনে ফেলে জয়ী হবার গৌরব অর্জন করে এই শাবিপ্রবি।
৬) বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে হাইস্পিড ওয়াইফাই চালু করে এই শাবিপ্রবিই।
৭) শাবিপ্রবির হাতধরেই আইপিই, এফইটি, পিএমই’র মত ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ৭) শাবিপ্রবির হাতধরেই আইপিই, এফইটি, পিএমই’র মত ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশে এসেছে।
৮) বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ইউনিভার্সিটি যেখানে দুইটি বিষয়ে একসাথে অনার্স করতে পারবে। মেজর সাব্জেক্টের পাশাপাশি অন্য যে সাব্জেক্টে অনার্স করবে সেটাকে বলা হয় সেকেন্ড মেজর। পোষ্টের নিচের অংশে এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
৯) এই বিশ্ববিদ্যালয় আর্টস থেকে পড়ে এসেও রোবট, ড্রোন ও সপ্টওয়্যার বানানো শিখে তা বানিয়ে বের হয়।
কেন পড়বে শাবিপ্রবিতে:-
১) অনেককেই দেখেছি যাদের স্বপ্ন শুধুই শাবিপ্রবি। যদি তোমার স্বপ্নও শাবিপ্রবি হয়ে থাকে তাহলে তো আর অন্য কোন কারনই লাগে না।
২) যাদের ইঞ্জিনিরিং পড়ার সখ কিন্তু কোন কারনে এইচ এস সি তে রেজাল্ট খারাপ হয়ে গেছে আর তোমরা ভাবছো তোমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন শেষ, তাদের জন্য বড় একটা দরজা খোলা রেখেছে শাবিপ্রবি। এখানে এসএসসি আর এইচ এস সি মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মাত্র ৭ পয়েন্ট থাকলেই পরীক্ষা দিতে পারবে।
৩)শাবিপ্রবির ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট গুলো অনেক মানসম্মত এবং রিচ। তাই এডুকেশন কোয়ালিটি নিয়ে তোমাদের চিন্তার কোন কারন নেই। শাবিপ্রবির সিএসই, ইইই, আইপিই, সিইপি, সিইই, জিইবি সাবজেক্ট গুলো বাংলাদেশের যেকোন ইঞ্জিনিয়ারিং/পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্টগুলো থেকে খারাপ নয়। এছাড়া এখানে আইপিই, সিইই & সিইপি আই ই বি সার্টিফাইড সুতরাং চিন্তার কোন কারন নেই।
৪) এরকম সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ আমার মনেহয় খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে। এক কিলো, আসেপাশের টিলা, গাছপালায় ঘেরা সবুজ ক্যাম্পাস আশা করি তোমাদের মন জয় করবেই।
ভর্তি যোগ্যতা:
ভর্তির জন্য মোট দুইটি ইউনিট A এবং B ইউনিট এ ভাগ করা হয়।
A ইউনিটে রয়েছে আর্টস এর সকল সাবজেক্ট সহ বিবিএ। এই ইউনিটে সায়েন্স আর্টস কমার্স সবাই এপ্লাই করতে পারবে।
B ইউনিটকে B1 & B2 তে ভাগ করা হয়। B1 ইঞ্জিনিয়ারিং সহ সকল সায়েন্সের সাবজেক্ট গুলোর জন্য। আর B2 শুধু আরকিটেকচারের জন্য (আলাদা করে ড্রয়িং এক্সাম দিতে হয়। বি১ এর এক্সামের পর আলাদা করে ড্রয়িং পরীক্ষা হয়)। তবে কেউ যদি B2 তে এপ্লাই করে তবে তাকে আর B1 এ এপ্লাই করতে হয় না। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি ড্রয়িং এ খারাপ করে আর B1 এর পরীক্ষায় ভাল করে তবে সে B1 এর সাবজেক্ট গুলোতে ভর্তি হতে পারবে। এই ইউনিটে শুধু মাত্র সায়েন্স এর স্টুডেন্ট & ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করা স্টুডেন্টরাই এপ্লাই করতে পারবে।
এ ইউনিটে ভর্তি যোগ্যতা:
যে বছরে ভর্তি পরীক্ষা দিবে অবশ্যই সে বছর বা তার আগের বছরে এইচ এস সি পাশ করতে হবে। যেমন তুমি যদি ২০১৮ সালে পরীক্ষা দাও তবে তোমাকে অবশ্যই ২০১৭/২০১৮ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা দিতে হবে। এস এস সি & এইচ এস সি তে নুন্যতম ৩ সহ সব মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মিনিমাম ৬.৫ পেতে হবে। O লেভেলে কম্পক্ষে ৩ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৫ টি বিষয়ে পাশ এবং A লেভেলে ২টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৩ টি বিষয়ে পাশ করতে হবে।
A ইউনিটের আসন সংখ্যা মোট ৬১০টি।
A ইউনিটঃ (বিজ্ঞান+ মানবিক + বানিজ্য)
অর্থনীতি(৪০+২০+৬=৬৬),
সমাজবিজ্ঞান(৩০+৩০+৬=৬৬),
পলিটিকাল স্টাডিজ(২০+৪০+৬=৬৬),
লোকপ্রশাসন(২০+৪০+৬=৬৬),
নৃবিজ্ঞান(২০+৪০+৬=৬৬),
সমাজকর্ম(২৫+৩৫+৬=৬৬),
ব্যবসায় প্রশাসন(৩০+১০+৩৫=৭৫),
বাংলা(৫+৬০+৬=৭১),
ইংরেজি(৩০+৩৫+৬=৭১)।
টোটাল (২২০+৩১০+৮৩=৬১৩)
৩.২ বি ইউনিটে ভর্তি যোগ্যতা:
*যে বছরে ভর্তি পরীক্ষা দিবে অবশ্যই সে বছর বা তার আগের বছরে এইচ এস সি পাশ করতে হবে। যেমন তুমি যদি ২০১৮ সালে পরীক্ষা দাও তবে তোমাকে অবশ্যই ২০১৭/২০১৮ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা দিতে হবে। * এস এস সি & এইচ এস সি তে নুন্যতম ৩ সহ সব মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মিনিমাম ৭.৫ পেতে হবে। * O লেভেলে কম্পক্ষে ৩ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৫ টি বিষয়ে পাশ এবং A লেভেলে ২টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৩ টি বিষয়ে পাশ করতে হবে।
B ইউনিটের আসন সংখ্যা
B ইউনিট, গ্রুপ 1:
পদার্থবিজ্ঞান(৬৫), রসায়ন(৬৫), গনিত(৮০), পরিসংখ্যান(৮০), CSE(১০০), কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং & পলিমার সাইন্স(৫০), ইন্ডাস্ট্রিয়াল & প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং(৫০), CEE(৫০), EEE(৫০), ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং & টি টেকনোলজি(৪০), পেট্রোলিয়াম & মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং(৩৫), ভূগোল ও পরিবেশ(৫০), MEE(৩৫), সমুদ্রবিজ্ঞান(৩০), সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং(৫০
), জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং & বায়োটেকনোলজি(৩৫), বায়োকেমিস্ট্রি & মলিকুলার বায়োলজি(৩০), ফরেস্টি & এনভায়রনমেন্ট সাইন্স(৫৫)।
টোটাল ৯৫০
★ B ইউনিট, গ্রুপ 2:
আর্কিটেকচার(৩০)
বিঃদ্রঃ বিশেষ বিশেষ সাবজেক্ট এর জন্য কিছু বিশেষ বিশেষ সাব্জেক্টের রিকোয়ারমেন্ট থাকে। যেমন কেউ যদি এইচ এস সিতে ফিজিক্স আর ম্যাথে ৩.৫ এর নিচে পায় তবে সে ভর্তি পরীক্ষায় যতই ভাল করুক ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হতে পারবে না। নিচের ইমেজ টা দেখলে ক্লিয়ার হয়ে যাবা আশা করি।
পরীক্ষা পদ্ধতি এবং মান বন্টনঃ
জিপিএ স্কোর এবং ভর্তি পরীক্ষার নাম্বার মিলিয়ে মোট ১০০ মার্ক্স থাকবে। যার মধ্যে জিপিএ স্কোর থাকবে ৩০। এবং ভর্তি পরীক্ষায় ৭০ মার্ক্স থাকবে। ৩০ মার্ক্স হিসেব করা হবে তোমার এস এসসি এবং এইচ এস সি পরীক্ষার জিপিএ থেকে। যারা চলতি বছরেই এইচ এস সি এক্সাম দিয়েছো(ফার্স্ট টাইমার) তাদের জন্য তোমার মোট জিপিএ (SSC+HSC) কে গুন করা হবে ৩ দিয়ে। আর যারা আগের বছর এক্সাম দিয়েছো তাদের মোট জিপিএ (SSC+HSC) কে গুন করা হবে ২.৭ দিয়ে। আর যারা ডিপ্লোমা করে আসবা তাদের এসএসসির সাথে ডিপ্লোমাতে প্রাপ্ত সিজিপিএ যোগ হবে। এক্ষেত্রে সিজিপিএ ৫ এ কনভার্ট করা হবে,এবং এর পর SSC এর সাথে যোগ হবে। যেমনঃ মনে করো,
এসএসসিতে জিপিএ- ৪.৫
এইচ এসসিতে জিপিএ- ৪.৯
তাহলে তুমি যদি রেগুলার ছাত্র হয়ে থাকো (ফার্স্ট টাইমার) তবে তোমার স্কোর হবে,
(৪.৫*৪.৯)= ২৮.২ আউট অফ ৩০
আর যদি আগের বছরে এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়ে থাকো( সেকেন্ড টাইমার) তবে তোমার জিপিএ স্কোর হবে, (৪.৫*৪.৯)= ২৫.৩৮ আউট অফ ৩০
বিঃদ্রঃ অনেকেই কনফিউজড হয়ে যায় সেকেন্ড টাইমার এর ডেফিনেশন নিয়ে। মনে রাখবে সেকেন্ড টাইমার তারাই যারা চলতি বছরের আগের বছর এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছে। অর্থাৎ তুমি যদি ২০১৭ তে এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়ে থাকো আর ২০১৮ তে সাস্টে এডমিশন দিতে আসো তবে তুমি সেকেন্ড টাইমার। এক্ষেত্রে তুমি আগের বছর ভর্তি পরীক্ষা যদি নাও দিয়ে থাকো তবুও তুমি সেকেন্ড টাইমার।
বাকি ৭০ মার্ক্সের বন্টন বিভিন্ন ইউনিটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি পরীক্ষায় ৭০ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ঠিক উত্তরের জন্য ১ মার্ক্স পাওয়া যাবে। এবং ভুল উত্তরের জন্য ০.২০ মার্ক্স কাটা যাবে।
A ইউনিট-
এপ্লাই করতে পারবে সায়েন্স, আর্টস, কমার্স সকলেই। সকল বিভাগের জন্য পরীক্ষার মান বন্টন দেয়া হল।
সায়েন্সঃইংরেজী- ২০বাংলা- ১০পদার্থ বিজ্ঞান- ১০রসায়ন- ১০গণিত/জীববিজ্ঞান- ১০ সাধারণ জ্ঞান- ১০
মোটঃ ৭০
আর্টসঃ ইংরেজী- ২০বাংলা- ১০অর্থনীতি,পৌরনীতি,যুক্তিবিদ্য
া,সমাজবিজ্ঞান,সমাজকল্যান, ইতিহাস এবং ইসলামের ইতিহাস, সাধারণ জ্ঞান - ৩০মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত ১০
মোটঃ ৭০
কমার্সঃইংরেজী- ২০বাংলা- ১০হিসাব বিজ্ঞান,ব্যাবসায়নীতি ও প্রয়োগ, সাধারণ জ্ঞান ৩০মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত ১০
মোটঃ ৭০
B ইউনিট:
ইংরেজী- ১০পদার্থবিজ্ঞান- ২০রসায়ন- ২০গণিত- ২০
মোটঃ ৭০
বিঃদ্রঃ যারা বি ২ ( আর্কিটেকচার) তে এক্সাম দিবা তাদের জন্য আলাদা করে ১ ঘন্টা ড্রয়িং এবং এই ব্যাপারে সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা দিতে হবে। মার্ক্স থাকবে ৩০. যারা ডিপ্লোমা করে সাস্টে পরীক্ষা দিবা তাদেরও এই সাব্জেক্ট গুলোতেই ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে।
নির্দিষ্ট কিছু বিভাগে ভর্তির জন্য আলাদা কিছু রিকোয়ারমেন্ট লাগে। নিচের ছবি দেখলে আশা করি ক্লিয়ার হয়ে যাবা।
ইংরেজী, ইকোনোমিকস ও আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য স্পেশাল রিকোয়ারমেন্ট থাকে। মানে ইংরেজী বিষয়ে ভর্তি হতে হলে তোমাকে ইংরেজীতে সর্বনিম্ম ৮নাম্বার পেতে হবে। অর্থনীতি পেতে তমাকে গণিতে সর্বনিম্ম ৪ নাম্বার পেতে হবে।
বাছাই প্রক্রিয়াঃ
A এবং B ইউনিটের জন্য আলাদা ভাবে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। মেরিট লিস্টে থাকার নুন্যতম যোগ্যতা ১০০(জিপিএ স্কোর+এক্সামে প্রাপ্ত নম্বর) তে মোট ৪০ মার্ক্স পাওয়া।এর মানে এই নয় যে ৪০ পেলেই তোমার চান্স হবে। এটাকে বলতে পারো পাশ মার্ক্স ৪০। কেউ যদি এর নিচে মার্ক্স পায় তবে সে কোন ভাবেই ভর্তি হতে পারবে না (কোটা ধারীদের জন্যও এই শর্ত প্রযোজ্য)।
এবার আসো কিভাবে প্রস্তুতি নিবেঃ-
বি ১ ইউনিটঃ
এটাই মুল পর্ব । মুলত এজন্যই নোটটা লিখছি। যারা এডমিশন দিবা তাদের আমি মুলত দুই ভাগে ভাগ করেছি।
ফার্স্ট টাইমার (যাদের হাতে ৩-৪ মাস সময় আছে)সেকেন্ড টাইমার (যাদের হাতে ১ বছর সময় আছে)
ফার্স্ট টাইমারঃ
১) আসলে তোমরা অনেক বড় হয়েছো তোমরাই খুব ভাল করেই জানো কিভাবে পড়া উচিৎ। তবুও সামান্য গাইড লাইন দেয়ার জন্য বলছি, তোমাদের এখন টেক্সট বুক পড়। বিগত বছর গুলোতে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি+ইঞ্জিনিয়ারিং এ যে সকল প্রশ্ন এসেছে সব খুব মনোযোগ সহকারে সলভ করা। মনে রাখবে এটাতে তুমি হয়ত ডাইরেক্ট কোন প্রশ্ন কমন পাবেনা তবে তোমার বেজ অনেকটা শক্ত হবে। বুঝতে পারবা তোমাদের দুর্বলতা গুলো। কোন ইউনিভার্সিটির প্রশ্ন পড়া শেষ হলে সাথে সাথে পুনরায় আরেকবার সেই প্রশ্ন গুলো রিভিশন দিবা। তাহলে বুঝবা কোন প্রশ্ন গুলো পড়া সত্বেও বার বার ভুল করছো।
২) এখন নতুন করে কিছু পড়ার দরকার নেই। মনে রাখবে ৫০% মার্ক্স পেলেই তুমি খুব ভাল সাব্জেক্টে চান্স পেয়ে যাবা এখানে। তাই যা জানো তাই যদি ১০০% ঠিক করে আসতে পারো তবে খুবই ভাল করতে পারবা এক্সামে।
৩) ফিজিক্সে সাস্টে সাধারনত ম্যাথমেটিক্যাল টার্ম বেশী থাকে তাই প্রতিটা অধ্যায় সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখবে। মনে রাখবে তোমার যে ম্যাথ গুলো কঠিন লাগে সেই টপিক থেকেই প্রশ্ন হবে। তাই যদি পারো এরকম টপিক কিছু দেখে যাবা। আর থিউরি যেগুলো আসে সেগুলো ব্যাসিক লেভেলের প্রশ্ন হয়। তাই ছোট ছোট পয়েন্ট গুলাও ছেড়ে যাবা না।
৪)সাস্টের ম্যাথমেটিক্স কি আসে সেটা তো সবাই এতদিনে জেনেই গেছো সবাই। আমি নিজেই ম্যাথে খুব বাজে ছিলাম বাট যেহেতু ব্যাসিক লেভেলের প্রশ্ন হয় ম্যাথে সেজন্য অনেকখানি এডভান্টেজ পেয়েছিলাম এক্সামে আর সবচেয়ে ভাল হয় এই ম্যাথ অংশটাই। যারা এখনো ম্যাথ নিয়ে হতাস তাদের হতাশার কিছুনেই। দেখবা অটোম্যাটিক ম্যাথমেটিশিয়ান হয়ে যাবা সবাই এক্সাম হলে (নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)। অনেক ম্যাথ দেখবা ক্যালকুলেটর এ সলভ করা যায় চেষ্টা করবা এগুলা যাতে কোনভাবেই ভুল না হয়। এক্সাম হলে মিনিমাম ২ টা ক্যালকুলেটর নিয়ে যাবা। ইন্টিগ্রেশন সলভ করতে বেশী সময় লাগে ক্যালকুলেটর এ তাই একটা ক্যালকুলেটর বিজি থাকলে আরেকটা দিয়ে কাজ ৪)সাস্টের ম্যাথমেটিক্স কি আসে সেটা তো সবাই এতদিনে জেনেই গেছো সবাই। আমি নিজেই ম্যাথে খুব বাজে ছিলাম বাট যেহেতু ব্যাসিক লেভেলের প্রশ্ন হয় ম্যাথে সেজন্য অনেকখানি এডভান্টেজ পেয়েছিলাম এক্সামে আর সবচেয়ে ভাল হয় এই ম্যাথ অংশটাই। যারা এখনো ম্যাথ নিয়ে হতাস তাদের হতাশার কিছুনেই। দেখবা অটোম্যাটিক ম্যাথমেটিশিয়ান হয়ে যাবা সবাই এক্সাম হলে (নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)। অনেক ম্যাথ দেখবা ক্যালকুলেটর এ সলভ করা যায় চেষ্টা করবা এগুলা যাতে কোনভাবেই ভুল না হয়। এক্সাম হলে মিনিমাম ২ টা ক্যালকুলেটর নিয়ে যাবা। ইন্টিগ্রেশন সলভ করতে বেশী সময় লাগে ক্যালকুলেটর এ তাই একটা ক্যালকুলেটর বিজি থাকলে আরেকটা দিয়ে কাজ করবা।
৬) ক্যামেস্ট্রি পার্ট খুব একটা কঠিন হয়না। তবুও অন্যান্য ইউনিভার্সিটির প্রশ্ন থেকে বেশ কঠিন হয়। সময় নিয়ে পড়বা। ম্যাথমেটিক্যাল টার্ম গুলো ভাল করে সলভ করবা। গ্রুত্ত্বপুর্ন নামীয় যে বিক্রিয়া গুলো আছে সেগুলো কিভাবে ঘটে কেন ঘটে সেটা ভাল করে শিখে নিবা। বই বা গাইড থেকে অনেক টেকনিক পাবে যেগুলো এপ্লাই করলে অনেক অল্প পড়েই অনেক কিছু মনে রাখতে পারবে। এগুলো যত পারো শিখে নিবা। আর হ্যা সাস্টে যে ক্যামেস্ট্রিতে ভাল করে তার চান্স হয় নিশ্চিত। তাই এখানে ভাল করা জরুরী অনেক।
৫) ইংলিশ নিয়ে কেউই কথা বলে না। আমিও খুব বেশী বলবো না কারন ইংলিশে সবাই এভারেজ( ৫-৬) মার্ক্স পায়। তবে যদি ইংলিশে একটু ভাল করতে পারো তবে চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যেতে পারবে। সো ইংলিশের এন্সার যদি ছেড়ে আসো তবে চান্স পাওয়া টাফ হবে।
সেকেন্ড টাইমারঃ
১) তোমাদের সামনে অনেক সময়। কিন্তু এটা ভেবে পড়াশোনা ছেড়ে বসে থাকলে বিশ্বাস করো নেক্সট টাইমেও তোমার কোথাও চান্স হবে না। এজন্য প্রতিদিন এটলিস্ট ২-৩ ঘন্টা তোমাকে অবশ্যই পড়তে হবে। খেয়াল করো আমি এখানে প্রতিদিন কথাটি বোল্ড করে দিয়েছি। এর মানে অবশ্যই তোমাকে প্রতিদিন পড়তে হবে। একদিন ৬ ঘন্টা পড়ে পরের দিন আর পড়বানা এমন করলে চান্স পাওয়ার সুযোগ কমে যাবে। আর হ্যা ঠিক মত ২-৩ ঘন্টা পড়াই যথেষ্ট। অনেককেই দেখেছি অনেক পড়াশোনা করেও এডমিশনে ভাল করে না। এর মুল কারন সে নিজের সময়কে এফিসিয়েন্টলি ইউজ করতে পারে না। তাই আমার ফিলোসোফি হল অমনোযোগী হয়ে ১০-১২ ঘন্টা পড়ার চেয়ে মনযোগী হয়ে ২ ঘন্টা পড়া বেটার।
২) সেকেন্ড টাইমারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী যে প্রব্লেম টা হয় সেটা হল তাদের কনফিডেন্ট লেভেল একেবারেই কমে যায়। এর অনেক কারন আছে, যেমন বাসা থেকে সব সময় চান্স না পাওয়ার জন্য বকাঝকা করা, বন্ধুদের ভাল কোথাও চান্স হয়েগেছে দেখে হতাশা, কোচিং/প্রাইভেটে মার্ক্স কম পাওয়া ইত্যাদি। এ জন্য আমার সাজেশন হল তুমি তোমার ফোকাস শুধু এক যায়গায় সিমাবদ্ধ করে ফেল। সেটা হল তোমার ইমপ্রুভমেন্ট। প্রত্যেকদিন প্রতিটা ওয়ার্ড পড়ার সাথে সাথে তোমার স্বপ্নের দিকে এগিয়ে চলেছো সেটা বিশ্বাস রাখো। নিজের সাথেই নিজে কম্পিটিশনে লেগে যাও। প্রতিদিন ঘুমের আগে আয়নার সামনে গিয়ে বলো আজকের তুমি কালকের তোমার চেয়ে বেটার। কনফিডেন্ট ফিরে আসবে।
৩) পড়াশোনার ব্যাপারে বললে বলবো তুমি সেকেন্ড টাইমার তোমাকে অবশ্যই ফার্স্ট টাইমারদের চেয়ে বেশী জানতে হবে । কারন তোমার সামনে সুযোগ একটায়। মিস হয়ে গেলে তুমি পিছিয়ে যাবা। তাই সিলেবাসের কোন কিছুই বাদ দিয়ে যাবানা। প্রতিদিন এটলিস্ট ১ টা সালের প্রশ্ন সলভ করবা( যেকোন ইউনিভার্সিটির)। সলভ করা মানে কিন্তু এন্সার মুখস্থ করা না। সলভ করা মানে ব্যাপারটা সম্পর্কে তোমার আইডিয়া ক্লিয়ার থাকা। মনে রাখবে সাস্টে কোন প্রশ্ন রিপিট হয় না। তাই মুখস্থ করে এখানে চান্স পাওয়া অসম্ভব।
৪) টার্গেট রাখবে ফার্স্ট টাইমাদের এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই তোমার সিলেবাস যাতে শেষ হয়ে যায়। এতে করে তুমি অনেকটায় এগিয়ে থাকবে তাদের তুলনায়। আর যদি কোথাও কোচিং/প্রাইভেট পড়ে থাকো তবে সেখানে নিয়মিত হবে। আর হ্যা অবশ্যই কোন পরীক্ষা মিস করা যাবে না। সব পরীক্ষায় শু্ন্য পাইলেও মিস দিবানা। যত বেশী পরীক্ষা দিবে ততবেশী তোমার ব্যাসিক স্ট্রং হবে। বাসায় এসে প্রতিটা পরীক্ষার প্রশ্ন আবার সলভ করবে।
৫) বিষয় ভিত্তিক সাজেশনের জন্য “৬.১.১ ফার্স্ট টাইমার” প্যারার ৩,৪,৫ গুলো পড়ে নাও।
সবার জন্যই কিছু কমন সাজেশনঃ
প্রত্যেকটা ইউনিভার্সিটির বিগত সালের সকল প্রশ্ন গুলো ভাল করে সলভ করে নাও।
এক্সামে মোট ৩ ধরনের প্রশ্ন হয়।
এধরনের প্রশ্ন সবাই পারে। এই প্রশ্ন ঠিক করার মধ্যে সেরকম কোন সার্থকতা নেই। তবে ভুল করলে চান্স পাবার চান্স অনেক কমে যায়। সাস্টে এরকম প্রশ্ন খুব কম হয়। এই ধরনের প্রশ্ন সবাই পারে না। আসলে এই প্রশ্ন গুলোই তোমার চান্স ভ্যারি করে। যে এ প্রশ্ন গুলোর সঠিক সঠিক উত্তর দিতে পারে তাদের ভার্সিটিতে চান্স হয়ে যায়। সাস্টে এধরনের প্রশ্নই বেশী থাকে। এধরনের প্রশ্ন খুব কম সংখক স্টুডেন্ট রাই সলভ করতে পারে। এই প্রশ্ন গুলো সলভ করতে শুধু বইগুলোতে ভাল দক্ষতা থাকলেই চলবেনা থাকতে হয় কিছু জিনিয়াসিটি। এ প্রশ্ন গুলো তারাই সলভ করতে পারে যাদের নাম এডমিশনে টপ লিস্টে থাকে। সাস্টে এধরনের প্রশ্নও খুব বেশী দেখা যায় না।
বুঝতেই পারছো যদি মাথা ঠান্ডা রেখে সহজ সহজ প্রশ্ন গুলো সলভ করতে পারো তবেই চান্স নিশ্চিত। একবার ভেবে দেখো যাস্ট চান্স পেতে এক্সামে তোমাকে ৩৫ পেতে হবে। আর সময় পাচ্ছো ৯০ মিনিট। মানে একটা প্রশ্ন সলভ করার জন্য সময় পাবা প্রায় ১৫৫ সেকেন্ড। এর মধ্যে ১ম টাইপের প্রশ্ন গুলো সলভ করতে টাইম এতটা লাগবে না।মানে যদি শুধু চান্স পেতে চাও তবে একটা প্রশ্ন সলভ করতে সময় পাবা প্রায় ৩ মিনিট। একবার ভেবে দেখো মাত্র ৯০ মিনিটে যদি তুমি তোমার সেরাটা দিতে পারো তবে চান্স পাওয়া খুব কঠিন নয়।
কিছু কমন প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন -১) ভাইয়া আমার এসএসসি তে জিপিএ এত, এইচ এস সি তে এত আমি কি সাস্টে এক্সাম দিতে পারবো??
উত্তরঃ এ ইউনিটে ভর্তি যোগ্যতা:
যে বছরে ভর্তি পরীক্ষা দিবে অবশ্যই সে বছর বা তার আগের বছরে এইচ এস সি পাশ করতে হবে। যেমন তুমি যদি ২০১৯ সালে পরীক্ষা দাও তবে তোমাকে অবশ্যই ২০১৮/২০১৯ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা দিতে হবে। এস এস সি & এইচ এস সি তে নুন্যতম ৩ সহ সব মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মিনিমাম ৬.৫ পেতে হবে। O লেভেলে কম্পক্ষে ৩ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৫ টি বিষয়ে পাশ এবং A লেভেলে ২টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৩ টি বিষয়ে পাশ করতে হবে।
বি ইউনিটে ভর্তি যোগ্যতা:
*যে বছরে ভর্তি পরীক্ষা দিবে অবশ্যই সে বছর বা তার আগের বছরে এইচ এস সি পাশ করতে হবে। যেমন তুমি যদি ২০১৯ সালে পরীক্ষা দাও তবে তোমাকে অবশ্যই ২০১৮/২০১৯ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা দিতে হবে। * এস এস সি & এইচ এস সি তে নুন্যতম ৩ সহ সব মিলিয়ে ১০ এর মধ্যে মিনিমাম ৭.৫ পেতে হবে। * O লেভেলে কম্পক্ষে ৩ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৫ টি বিষয়ে পাশ এবং A লেভেলে ২টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৩ টি বিষয়ে পাশ করতে হবে।
প্রশ্ন ২- ভাইয়া আমার জিপিএ এত আমার জিপিএ স্কোরে ৩০ কত থাকবে??
উত্তরঃ যারা ফার্স্টটাইম এডমিশন,
(তোমার এস এস সি জিপিএ + তোমার এইচ এস সি জিপিএ)* ৩
যারা সেকেন্ড টাইম দিচ্ছ তাদের,
(তোমার এস এস সি জিপিএ + তোমার এইচ এস সি জিপিএ)*২.৭
রেজাল্ট যেটা আসে সেটাই তোমার জিপিএ স্কোর (গত বছরের নোটিশ অনুযায়ী)
প্রশ্ন ৩ঃ ভাইয়া সাস্টে কত পেলে অমুক সাব্জেক্ট / চান্স পাবো??
উত্তরঃ ১০০ তে ৯৯ পেলেও যে তোমার চান্স হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই । কারন বাকি সবাই যদি ১০০ ই পায় তবে?? তাই কত পেলে চান্স হবে তা বলা সম্ভব নয়। তবে সাধারনত সাস্টের প্রশ্ন ব্যাসিক লেভেলের হয় তায় মুটামুটি ৪৫-৫০% মার্ক্স তুলতে পারলে (শুধু এক্সামে) চান্স হবে এটা বলা যায় । তবে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে কিছুই বলা যায় না।
প্রশ্ন ৪ঃ ভাইয়া আমি অমুক কোচিং এ ক্লাস করছি, এখন জিপিএ খারাপ তাই সাস্ট টার্গেট । এত কম সময়ে প্রিপারেশন নেয়া সম্ভব?
উত্তরঃ ব্যাসিক ঠিক থাকলে মাত্র ১৫-২০ দিনেও ফুল প্রিপেয়ার্ড হতে পারো। কিন্তু শুধু সাস্টে এক্সাম দিবা তাই শুধু এটার প্রিপারেশন নেয়া বোকামী। সকল ভার্সিটির জন্য প্রিপারেশন নাও তবে পছন্দের তালিকায় সাস্টকে কোথায় যায়গা দিবা সেটা তোমার ব্যাপার।
প্রশ্ন ৫ঃ ভাইয়া বাজারে কোন গাইড সাস্টের জন্য ভাল?
উত্তরঃ বাজারের সব গাইডই ভাল। যদি ভাল করে প্রিপারেশন নিতে পারো তবে যেকোনটি পড়েই ভাল করা যায়। তবে তোমার যেটা ভাল লাগবে সেটাই পড়বা। অন্য কারো কাছে সাজেশন না নিয়ে নিজে যাচায় করে গাইড নিবা।আর সাস্ট এডমিশনের জন্য বেস্ট বই হল টেক্সটবুক। কারন সাস্টের প্রশ্ন কেমন হয় তোমরা অলরেডি দেখে ফেলেছো। খেয়াল করে দেখবে ৯৫% প্রশ্নই সাস্টে রিপিট হয় না। কিছু কিছু প্রশ্ন রিপিট হলেও খুব রেয়ার। তাই কোন বই কেনার আগে মাথায় রাখবে যে বই কিনছো সেই বই থেকে কোন প্রশ্নই হয়ত কমন আসবে না। তাই কোন বইয়ে যদি দেখো "১০০% কমন এর নিশ্চয়তা " তাহলে আমার মতে পাস কেটে চলে আসাই বেটার।
প্রশ্ন ৬ঃ ভাইয়া সাস্টে কোন সাব্জেক্ট ভাল? কোনটায় ভর্তি হলে ভাল হবে?
উত্তরঃ ৩ টা কথায় মাথায় রেখে সাবজেক্ট চয়েজ করতে হয়।
১) প্যাশন ২) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ৩) জব সেক্টর
প্রথমে যদি প্যাশনের কথা বলি তবে এটা সম্পুর্ন তোমার নিজের ব্যাপার। কারো প্যাশন হতে পারে সিএসই কারো ইইই কারো মেকানিকাল কারো আইপিই কারো ফিজিক্স কারো জিইবি। মনে রাখিবে প্যাশন মানে তুমি সাবজেক্ট টাকে ভালবাসো। আর যে সাবজেক্টকে ভালবাসলে সফলতা ১০০%
২য়, তোমার পরিকল্পনা... যেমন ধরো যদি গবেষণা ভাল লাগে তবে বায়োলজিরিলেটেড সাবজেক্টের বিকল্প নেই।এক্ষেত্রে জিইবি আর বি এমবি অসাধারণ। মনে করো তোমার অনেক পড়াশোনা করার ইচ্ছে,বাইরে গিয়ে গবেষনার ইচ্ছে তবে সে কথা চিন্তা করে ফিল্ড গুলো দেখে তোমার চয়েজ করতে হবে।
লাস্ট যে ব্যাপার সেটা হল জব সেক্টর.... আমরা অধিকাংশই পড়াশোনা করি লাইফে ভাল কোন চাকরী করার জন্য বা উদোক্তা হবার জন্য। সে ক্ষেত্রে ভাল চয়েজ হয় ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট গুলো.... আইপিই, কেমিক্যাল, সিলিভ এগুলো ডিপার্টমেন্ট গুলোতে দেখা যায় তোমার জব খুঁজতে হয়না জব তোমাকে খুঁজে নেয়। অনেকেই পুরোপুরি অনার্স শেষ করার আগেই দেখা যায় জব পেয়ে গেছে। ২-৩ বছর চাকরী করে ফাঁকেফাঁকে এসে অনার্স কম্পলিট করছে।
লাইফ তোমার আর ডিজিশনও তোমার...কোন রাস্তায় যাবে সেটাও ডিজিশন তুমিই নিবা। তবে একটা কথা মাথায় রাখবা যে সাবজেক্টেই ভর্তি হও না কেন ভাল করলে তোমার দাম তুমি পাবেই। সুতরাং যেটা করবে চিন্তা করেই করবে, সবার সাথে আলোচনা করেই করবে।
প্রশ্ন ৭ঃ কি করলে সাস্টে চান্স পাওয়া যাবে??
উত্তরঃ সাস্টের বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন সলভ করবা( বুঝে বুঝে শিখে শিখে)।মনে রাখবে তুমি শিখছো মানে তুমি পড়ছোনা, তুমি শিখছো।এতে তোমার ব্যাসিক তৈরি হয়ে যাবে। তোমার ব্যাসিক ভাল মানে তুমি সাস্টিয়ান হতে চলেছো।
প্রশ্ন ৮ঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কি বিষয়ে এক্সাম দিতে হবে?
উত্তরঃবি ইউনিটের জন্য অবশ্যই ফিজিক্স,ক্যামেস্ট্রি, ম্যাথ আর ইংলিশ। ডিপ্লোমাদের একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়।
প্রশ্ন ৯ঃ মেরিট পজিশন একই!! কিভাবে সম্ভব??
উত্তরঃশাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় একই মার্ক্স পেলে তাদের মেরিট পজিশন সেম আসে। মনে করো তুমি সহ মোট ২০ জন ১০০ তে ৬৫ পেয়ে ১৭০ তম হয়েছো। এখন এক্ষেত্রে অন্যান্য ইউনিভার্সিটি র ‍্যান্ডমলি তোমাদের একটা পজিশন দিয়ে দেয়। অর্থাৎ ৬৫ পেয়ে এক জনের পজিশন ১৭০ আরেকজনের পজিশন ১৯০। ফলে অনেক সময় তুমি তোমার স্বপ্নের সাবজেক্ট এ পড়াশোনা করার সুযোগ হারিয়ে ফেলো। ব্যাপার টা যেমন অমানবিক ঠিক তেমনি অযৌক্তিক। তোমাদের যাতে এধরনের প্রব্লেম এ পড়তে না হয় তাই সাস্ট তোমার সাথে এরকম কোন অবিচার না করে তোমাদের ২০ জন কেই একই পজিশন দেয়। অর্থাৎ ২০ জনই তোমরা ১৭০ পজিশন এ।
এখন প্রশ্ন হতে পারে তাইলে কাকে সাবজেক্ট দেয়া হবে আগে?? উত্তর সোজা সবাইকে। মনে করো ১৭০ এ এসে দেখা গেল সিএসই তে সাবজেক্ট আছে আর মাত্র ২ টা বাট তোমাদের ক্যান্ডিডেট ২০ জনই সিএসই নিতে চাও তখন সাস্ট তোমাদের ২০ জন কেই সিএসই তে ভর্তি করে নেয়। অর্থাৎ তোমাদের সাথে কোন অবিচার করা হয় না। এতে সিএসইতে এক্সট্রা ১৮ জন বেশী এডমিট করানো হবে।
আরেকটি প্রশ্ন হতে পারে যদি ১৭০ তম ২০ জন হয় তবে পরবর্তী জন কত তম হবে?? ১৭১ নাকি ১৯১? উত্তর হল ১৯১ তম। অর্থাৎ মাঝখানের ১৭১-১৯০ পর্যন্ত এই পজিশন গুলো ফাঁকা থাকবে।
আশা করি ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়েছো।
প্রশ্ন ১০ঃ সেকেন্ড মেজর কি ? কিভাবে সেকেন্ড মেজর পড়তে হয়?
উত্তরঃ বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র শাবিপ্রবিতে সেকেন্ড মেজরের ব্যবস্থার প্রচলন আছে।সাধারনত ভর্তির ১ বছর পর সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সেকেন্ড মেজর অফার করা হয়। ৪ বছর পরে ১ম মেজরের জন্য একটা সার্টিফিকেট আর সেকেন্ড মেজরের জন্য আর একটা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।সাধারনত CSE, EEE এবং Physics ডিপার্টমেন্ট হতে সেকেন্ড মেজর অফার করা হয়। একটা লিখিত পরীক্ষা+ভাইভা হওয়ার পরে সেকেন্ড মেজর এলোট করা হবে। সাধারনত সন্ধ্যার দিকে সেকেন্ড মেজরের ক্লাশ হয়। ### সেকেন্ড মেজর জিনিস টা কি?? -কেউ যদি ফিজিক্সে গ্রাজুয়েশন করে, তাহলে তার মেজর হলো ফিজিক্স, ম্যাথে গ্রাজুয়েশন করলে মেজর হলো ম্যাথ। অর্থ্যাৎ যে যে বিষয়ে পড়াশোনা করছো, সেটাই তার জন্য মেজর। আর মেজর ব্যতীত অন্যান্য যেসকল কোর্স পড়ানো হয় সেগুলো মাইনর।তাহলে সেকেন্ড মেজর হলো নিজের মেজরের পাশাপাশি আর একটা সাবজেক্ট মেজর হিসেবে নেওয়া। ### কি কি বিষয় সেকেন্ড মেজর হিসেবে নেওয়া যায়?? CSE, EEE, PHYSICS। এই বছর MATH ও সেকেন্ড মেজর হিসেবে নেওয়ার প্রচলন করা হচ্ছে। ### কতো ক্রেডিট পড়ানো

About the Author

LaBiB
Bangladesh Writter Society
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.