Notification texts go here Contact Us Buy Now!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ বিবিএ ভর্তি প্রস্তুতি:

LaBiB
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ বিবিএ ভর্তি প্রস্তুতি:
এইচএসসি বা সমপর্যায়ের পরীক্ষা সমাপ্তির পর তোমাদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে পড়াশোনা করার। এই বিষয়ে স্নাতকশ্রেণির পড়াশোনা হচ্ছে বিবিএ, যার পূর্ণাঙ্গ অর্থ ‘ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-র বিবিএ ডিগ্রি বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানজনক ডিগ্রিগুলোর মধ্যে একটি। এই স্বপ্নপূরণের পথে কীভাবে প্রস্তুতি নেবে, কী কী করণীয় সে ব্যাপারে তোমাদের মনে যত প্রশ্ন রয়েছে, এই লেখাটির মাধ্যমে তার সবগুলোর উত্তর পেয়ে যাবে।
**আইবিএ-তে ভর্তি পরীক্ষা কারা দিতে পারে?
তুমি যেকোন গ্রুপ থেকেই পড়াশোনা করো না কেন, (সায়েন্স/আর্টস/কমার্স) এইচএসসি (মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে আলিম) পাশ করার পরে বিবিএতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। বাংলা মিডিয়াম, ইংলিশ মিডিয়াম, মাদ্রাসা- কোন ভেদাভেদ নেই, সবাই পারবে পরীক্ষা দিতে।
**ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে জিপিএ কত লাগবে?
অনেকে মনে করো যে এসএসসি, এইচএসসিতে গোল্ডেন থাকা লাগবে বা ইংরেজিতে এ প্লাস থাকতে হবে। এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। আইবিএতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে তোমার এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় মিলিয়ে মোট জিপিএ ৭.৫ থাকলেই যথেষ্ট (চতুর্থ বিষয় সহ)।
জিপিএর উপর ভিত্তি করে পয়েন্ট ঠিক করা হয়।
এসএসসিতে তোমার জিপিএ ৪.৫ হলে পাবে ৩ পয়েন্ট, আর ৩.৫ জিপিএ হলে পাবে ২ পয়েন্ট।
এইচএসসিতে জিপিএ ৪ হলে পাবে ৩ পয়েন্ট, এবং জিপিএ ৩ হলে ২ পয়েন্ট।
এই পয়েন্টগুলো যোগ করে মোট ৫ পয়েন্ট পেলেই তুমি যোগ্য পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
**আইবিএতে কি শুধু ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরাই পড়ে?
এটি একটি প্রচলিত ভুল ধারণা। আগেই বলেছি, এখানে বাংলা-ইংরেজি-মাদ্রাসা কোন মাধ্যমের ভেদাভেদ নেই। তুমি যে মাধ্যমেই পড়াশোনা করো না কেন, যোগ্যতা থাকলে অবশ্যই সুযোগ পাবে আইবিএতে।
একটি মজার তথ্য জেনে অবাক হবে, সাধারনত আইবিএতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিবছর উত্তীর্ণদের ভেতর ইংলিশ মিডিয়ামের চেয়ে বাংলা মিডিয়ামের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি থাকে! সুতরাং, তোমার ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।
**ভর্তিযুদ্ধে কত পরীক্ষার্থী অংশ নেয়? উত্তীর্ণ হয় কতজন?
প্রতিবছর গড়ে ছয় থেকে সাত হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয় আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায়। সেখান থেকে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয় ১৮০ জন, তাদেরকে একটি চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে বাছাই হয় ভাগ্যবান ১২০ জন শিক্ষার্থী।
**এত এত পরীক্ষার্থীদের মাঝে আমি কি পারবো?
প্রথমেই জেনে রেখো, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক হলেও সত্যিকারের প্রতিযোগিতায় আসার যোগ্যতা থাকে খুব কম শিক্ষার্থীরই। যেহেতু আইবিএ-র ভর্তি পরীক্ষা বছরের শেষদিকে হয়, এর আগেই মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ অন্যান্য পরীক্ষাগুলো সমাপ্ত হয়ে যায়। অনেকেই তাই কৌতূহল বা শখের বশে পরীক্ষা দিতে আসে যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া।
তোমার সত্যিকারের প্রতিযোগিতা হবে মাত্র ১০-১৫% পরীক্ষার্থীর সাথে। সুতরাং এত পরীক্ষার্থী দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই।
**ভর্তি পরীক্ষা কখন অনুষ্ঠিত হয়? সার্কুলার কখন ছাড়ে?
সাধারনত অক্টোবরের একদম শুরুতেই ফর্ম ছাড়া হয় ওয়েবসাইটে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরুর সাত সপ্তাহের ভেতর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত অক্টোবরের একদম শেষে বা নভেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় আইবিএ বিবিএ ভর্তি পরীক্ষা (এটি fixed নয়, বছরভেদে আগে পরে হতে পারে)।
এ তো গেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য। সব জানার পর যদি লক্ষ্য স্থির করো আইবিএতেই পড়তে চাও, চলো তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে নেবে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি।
**আইবিএ বিবিএ ভর্তি পরীক্ষার পাঠ্যসূচি কী?
আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোন ধরাবাঁধা পাঠ্যসূচি বা সিলেবাস নেই। যেহেতু কোন নির্দিষ্ট সিলেবাস নেই, সুতরাং শতভাগ প্রস্তুতি নেওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব না। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, অনুশীলনের বিকল্প কিছু নেই। তুমি যা পড়বে এর ৪০% হয়তো মনে থাকবে না, সেটা নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। এই ৬০% কে পুঁজি করেই বিজয়ের নিশান উড়িয়ে দিতে পারবে তুমি। সুতরাং “কী কী পড়বে” তারচেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ “কী কী বাদ দিয়ে পড়বে”।
**আমাকে কি ইংরেজি ও গণিতে অসাধারন দক্ষ হতে হবে?
আমরা অনেকেই আছি, যাদের ইংরেজির ভিত্তি তেমন শক্ত নয় অথবা গণিতে দুর্বল। তাদের জন্য কাজটি কঠিন নিঃসন্দেহে, কিন্তু যতই দুর্বল হওনা কেন, কঠোর পরিশ্রম করলে তুমি অবশ্যই উত্তীর্ণ হবে।
আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে সাধারণত IQ based (বুদ্ধির পরীক্ষা) প্রশ্ন থাকে, মাধ্যমিক পর্যায়ের অঙ্ক থাকে বেশিরভাগ। ইংরেজিতে বেসিক গ্রামারের খুঁটিনাটি জানা থাকতে হয় ভালভাবে, সাথে ভোক্যাবুলারি রয়েছে। সুতরাং ইংরেজি/গণিত এগুলো নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অনুশীলনের মাধ্যমে সব আয়ত্তে আনা অবশ্যই সম্ভব।
(**প্রশ্নের মানবণ্টন**)
লিখিত পরীক্ষা দুটি পর্যায়ে হয়। নৈর্ব্যক্তিক এবং লিখিত।
(**নৈর্ব্যক্তিক অংশ**)
নৈর্ব্যক্তিক (M.C.Q) পরীক্ষার সময় ৯০ মিনিট। এতে তিনটি অংশ থাকে – ইংরেজি (৩০ মার্কস), গণিত (৩০ মার্কস), এনালিটিকাল (বিশ্লেষণী) (২০ মার্কস)।
তোমাকে ইংরেজি, গণিত, এনালিটিকাল প্রত্যেকটি অংশ আলাদা আলাদাভাবে পাশ করতে হবে।
বেশিরভাগ অংশে ফুল মার্কস পেয়েও কোন একটি অংশেও যদি ফেল করো তাহলে তুমি অনুত্তীর্ণ।
**প্রত্যেকটি অংশে Passing Mark (পাশ মার্ক) কতো?
এটি বছরভেদে বা প্রশ্ন কতো কঠিন বা সহজ হয় তার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি অংশে Passing Mark 60%।
অর্থাৎ ইংরেজি ও গণিতে তোমাকে কমপক্ষে ১৮ মার্কস এবং এনালিটিকালে কমপক্ষে ৯ মার্কস পেতে হবে।
**নেগেটিভ মার্কিং কতো? ক্যালকুলেটর কি আনা যাবে?
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ করে কাটা যাবে। সুতরাং একদম নিশ্চিত না হয়ে উত্তর করবে না। আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর কখনোই অনুমোদিত নয়।
(**ইংরেজি অংশ**)
ইংরেজিতে মূলত ৩টি অংশ থাকে।
Grammar
Reading (comprehension)
Vocabulary
গণিত অংশ
গণিতেও ৩টি অংশ থাকে।
Algebra
Arithmetic
Geometry
(এগুলো সবই মাধ্যমিক পর্যায়ের অঙ্কের Standard অনুযায়ী)।
সকলের জন্য রইলো শুভ কামনা।
মহসিন।

About the Author

LaBiB
Bangladesh Writter Society
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.