Dhaka University Admission 2020-2021
প্রিয় এইচএসসি পরিক্ষার্থী ছোট ভাই/বোন
তোমাদের মধ্যে যাদের স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
তাদের জন্যে আজকের এই পোস্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০১৯-২০ অনুসারে
গতবছর ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছিলো।
তাই বলা যায় ঢাবি তে নেক্সট ভর্তি পরিক্ষাও এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে হবে।
আজকে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি,সাজেশন,আসন সংখ্যা,আবেদন এর যোগ্যতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যাঃ
ক ইউনিট আসন সংখ্যা ১৭৪০ টি
খ ইউনিট আসন সংখ্যা ২৩৬৩ টি
গ ইউনিট আসন সংখ্যা ১২৫০ সিট
ঘ ইউনিট আসন সংখ্যা ১৬১০ সিট।
বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১১৪৭ টি
মানবিক বিভাগের জন্য ৫৩ টি
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৪১০ টি
চ ইউনিট আসন সংখ্যা ১৩৫ সিট।
আইবিএ আসন সংখ্যা ১২০ সিট
সবমিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা ৭২১৮টি
বই সাজেশনঃ
ঢাবির খ, গ, ঘ, চ ইউনিটে যারা পরীক্ষা দিবা এবং যারা ক ইউনিটে পরীক্ষা দিবা কিন্তু বাংলা / ইংরেজি উত্তর করবা তাদের জন্য পরামর্শ হলো :
১) বাংলার জন্য অবশ্যই " বাংলা প্রান্তর " বইটা ফলো করবা। এটাতে MCQ এর পাশাপাশি Written ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। বইটি খুব অসাধারণ ভাবে সাজানো একটি বই।
২) ইংরেজির জন্য ফলো করবা " ছায়ামঞ্চ English " বইটি। এটিই একমাত্র পূর্নাঙ্গ ইংরেজি বই, যেটাতে MCQ এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে Written আছে।
৩) সাধারণ জ্ঞানের জন্য " ছায়ামঞ্চ GK ", আর সাম্প্রতিক তথ্যের জন্য " সাম্প্রতিক সামিট " ফলো করবা।
সায়েন্স এর স্টুডেন্টরা -
১) রসায়নের জন্য MCQ + রিটেন সম্বলিত পূর্নাঙ্গ বই " CHEMISTRY SUMMIT " সংগ্রহ করো।
২) জীববিজ্ঞানের জন্য সংগ্রহ করো " CORE BIOLOGY ". MCQ + WRITTEN সম্বলিত অসাধারণ একটা বই।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের স্টুডেন্টরা-
১) ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের স্টুডেন্টরা অবশ্যই অবশ্যই " ছায়ামঞ্চ Business SUMMIT " বইটা ফলো করবা। এক বইয়েই হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ / ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং ও ফিন্যান্স রয়েছে। MCQ + WRITTEN সম্বলিত অসাধারণ একটা বই।
আর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ সমাধান করবা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের যোগ্যতাঃ
যাদের কোন সাবজেক্টে বি গ্রেডের কম আছে, অর্থাৎ সি ও ডি গ্রেড আছে এবং এস এস সি ও এইস এস সি রেজাল্ট সাইন্স ও কমার্সের শিক্ষার্থীদের যদি ৩.৫ এর উপরে আলাদা ভাবে থাকে তাহলে তারা নিজেদের স্ব স্ব ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে।
ক-ইউনিট (বিজ্ঞান বিভাগ)
বিজ্ঞান ও কৃষিবিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বাের্ডের বিজ্ঞান শাখায় আলিম ও IGCSE/O Level এবং IAL/GCE A Level পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএদ্বয়ের যােগফল ন্যুনতম ৮.০ (মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে) আছে তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
খ-ইউনিট (মানবিক বিভাগ)
মানবিক শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বাের্ডের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যােগফল ন্যূনতম ৭.০ (মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে) আছে তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
গ-ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ)
ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক, ডিপ্লোমা-ইন-বিজনেস স্টাডিজ, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যােগফল ন্যূনতম ৭.৫ (মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে) আছে তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ডিপ্লোমা-ইন-বিজনেস স্টাডিজ, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট শাখা থেকে আগত প্রার্থীদের একাউন্টিং বিষয়টি অবশ্যই থাকতে হবে এবং উক্ত বিষয়ে ন্যূনতম বি-গ্রেড (গ্রেড-পয়েন্ট ৩.০) হতে হবে।
ঘ-ইউনিট ( সমন্বিত কিভাগ)
মানবিক শাখার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং মদ্রাসা শিক্ষা বাের্ডের মানবিক শাখায় আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সকল প্রার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যােগফল ন্যূনতম ৭.০ (মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০ থাকতে হবে) আছে তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
বিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বাের্ডের বিজ্ঞান শাখা থেকে আগত যে সকল প্রার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যােগফল ন্যূনতম ৮.০ (মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫ থাকতে হবে) আছে তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক, ডিপ্লোমা-ইন-বিজনেস স্টাডিজ, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট শাখা থেকে আগত প্রার্থীদের মধ্যে যাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যােগফল ন্যূনতম ৭.৫ (মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫ থাকতে হবে) আছে কেবল তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় কোন বিষয়ে বি-গ্রেড (গ্রেড পয়েন্ট ৩.০) এর নিচে আবেদন গ্রহণযােগ্য হবে না।।
চ-ইউনিট (চারুকলা বিভাগ)
১, অঙ্কন ও চিত্রায়ণ ২. গ্রাফিক ডিজাইন ৩. প্রিন্টমেকিং ৪. প্রাচ্যকলা ৫. মৃৎশিল্প ৬. ভাস্কর্য ৭. কারুশিল্প ও ৮. শিল্পকলার ইতিহাস। | উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার যে কোন শাখায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ)।
প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যােগফল ন্যূনতম ৬.৫ (মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ | থাকতে হবে) আছে তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
সুতরাং কারও যদি দূর্ভাগ্যবশতও গ্রেড পয়েন্ট SSC অথবা HSC তে ৩.৫ এর নিচে আছে তাদের আর কোন ভয় নেই। তোমরা নিজেদের ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে শুধু ঘ ইউনিট বাদে।ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার মানবণ্টন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২০১৯সাল থেকে মানবন্টনে পরিবর্তন আনা হয়েছে ।
গত বছরের ভর্তি পরীক্ষা থেকেই থেকে ৭৫ নম্বরের এমসিকিউ (MCQ) এবং ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা সময় দেওয়া হবে। এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য (৫০) মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য (৪০) মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। লিখিত পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দেওয়া হবে যা কিনা উত্তরপত্রের মধ্যেই সংক্ষিপ্ত আকারে লিখতে হবে।
তবে ইউনিট ভিত্তিক মানবন্টনের জন্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ।
স্ব স্ব ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষা র নম্বর ও সময়ঃ
ইউনিট নম্বর সময় নম্বর সময়
ক) ৭৫ ৫০মিনিট ৪৫ নম্বর ৪০ মিনিট
খ) ৭৫ ৫০মিনিট ৪৫ নম্বর ৪০ মিনিট
গ) ৭৫ ৫০মিনিট ৪৫ নম্বর ৪০ মিনিট
ঘ) ৭৫ ৫০মিনিট ৪৫ নম্বর ৪০ মিনিট
ঙ) ৫০(GK) ৬০মিনিট ৭০(অঙ্কন) ৯০ মিনিট
🔘 পদার্থবিজ্ঞান - https://bit.ly/3knhMv3
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে চাইলে
এখন থেকে খুব বেশি পড়াশোনা করতেই হবে।
মাত্র কয়েক মাস কষ্ট করলে এর সুনাম,মূল্য,দাম,সম্মান সারাজীবন পাবা।
সবার জন্য শুভকামনা রইল
মনের ভেতর থাকা যেকোনো প্রশ্ন করতে পারো
ভাইয়া সাথে আছি তোমাদের।